এই অঘ্রাণ ভালোবাসি,
দিগন্ত জোড়া মাঠে মাঠে দেখি
সোনালী ধানের হাসি |

কৃষক রমনী আল পথ ধরে
হেঁটে যায় ভোরবেলা,
শিশির মাখানো ধান শীষ তার
পায়ে পায়ে দেয় দোলা |

ঝরা সাদা ফুলে ভরে গেছে দেখি
শিউলি গাছের তল,
পদ্ম শালুক আলো করে আছে
শান্ত দীঘির জল |

দূর দিগন্তে নীলিমায় ভেসে
সাদা মেঘ প্রাণ খুলে,
সূর্য্য কিরণে নানা বর্ণের
কোলাজ ফুটেছে তুলে |

মিঠে রসে ভরা হাঁড়ি ঝুলে আছে
জড়িয়ে খেজুর গলা,
বুলবুলি তাই রস খেয়ে যায়
ঘুরে ফিরে দুই বেলা |

মাকড়সা জাল পেতেছিল যত
কাল সারারাত ধরে,
শিশিরের ভারে ছিড়েছে সে জাল
লেগে আছে ঝোঁপে ঝাড়ে |

সারা মাঠ জুড়ে ব্যস্ত কৃষক
ব্যস্ত কৃষক বালা,
দিনে রাতে চলে ধানকাটা
আর ভরে ওঠে ধানগোলা |

নধর নধর পাতিহাঁস গুলি
ভরাট পুকুর জলে,
জল কেলি কোরে হংসীর সাথে -
কোন কথা যেন বলে |

মিষ্টি রোদের উষ্ণতা মেখে
ধেনু চড়ে ফাঁকা মাঠে,
ভাঙ্গা ধান শীষ গয়নার মতো
পথ জুড়ে পড়ে আছে |

এই অঘ্রানে নবান্ন আসে
পল্লীগৃহের দ্বারে,
কচি কাঁচাদের উঠে কলরব
উৎসব ঘরে ঘরে |

এই হেমন্তে প্রতিবার মাঠে
যৌবন ফিরে আসে,
পদ্ম শালুক সোনালী ধানেরা
কোমল রোদে হাসে ||