নারায়ণ চন্দ্র হালদার
একদিন দুর্গা-দেবী’ বর্ষিলেন, রাবণ’কে এক শর্ত,
‘চন্ডীমন্ত্র’ ঠিক পালনে তোর কথায় কাঁপবে ‘মর্ত’।
আমি হবো তোর ‘রক্ষাকবচ’ ভূবনও করবি জয়,
নহিলে ছাড়বো এমন রাজ্য; অকালেই দেখবি ক্ষয়।
সেইহেতু চলতি বসন্ত কালের চৈত্র-আবহেই আবর্ত,
শিব উপাসক ‘দৈত্যরাজ’ হইলেন দূর্গারাধনায়-মত্ত।
দেবীর খুশিতে, আপনি করেন প্রমোদ ক্ষেত্রে বিচরণ,
অযোদ্ধারাজ সীতাপতি ‘রাম’খোঁজে বিফলের কারণ।
হেরি ‘ব্রহ্মদেব’,নৃপতি রামেরে, দূর্গারে-পুজিতে বলে,
রাম ভাবে কেমনে সম্ভব দেবলোকে দক্ষিণায়ণ চলে।
এ যে দেবীর ঘুমের সময় খুলবেন কি আঁখি পল্লব?
বিধানটি রয়েছে বোধন করেই দেবীর পূজাও সম্ভব।
বিল্ববৃক্ষতলে দূর্গা’য় পূজিলেন অকালেই অযোধ্যাপতি,
হনু-কৌশলে বৃহস্পতি অজ্ঞান, ক্রোধে ফিরিল পার্বতী।
রাবণ বধে্র চির-প্রকট প্রাচীর আবদ্ধ রইলনা আর,
রামের বীরত্ব ভূবণ জানল, হল সীতা দেবী উদ্ধার।
উত্তরায়ণ দেবলোকে দিবস, যাহা বসন্ত কালেই রহে,
সেহেতু শরৎ দেব-দেবীর পূজা্র অশুভ সময় কহে।
তাই শরতের দুর্গোৎসব পালন অকাল বোধনেই হয়,
আলোকোজ্জ্বল আমোদ-প্রোমদ ধারা সেখানেই অক্ষয়।