তারিখ – ০৪-০৪-২০২৩
বাঁচার পথটা পাইনি কোথাও খুঁজে,
হাল ছেড়ে তাই শুয়েছি মুখ গুঁজে।
অধম আমিই, হচ্ছে প্রমাণ এতে,
ঘুরছি তাতেই একটা কর্ম পেতে।
সহজ ভাবেই অর্থ যদি আসে,
মা-ভাই-বোন খুশির ঝড়ে হাসে।
নাই পিতা মোর; আছে পুত্র কন্যা,
তারা অনাহারে ঝরায় অশ্রু বন্যা।
অসহায় আমি তাকিয়ে ওদের দিকে,
বেছেও নিলেম অসৎ ওই পথটিকে।
ঠক মহলেই চলল আমার রাজ,
হলাম একটা পাক্কা তোলাবাজ।
লোক সমাজে দিচ্ছি বেজায় ধাপ্পা,
নিজেরই উপর হচ্ছি কভু খাপ্পা।
ভাবছি মনে এ কাজ আমার ন্য়,
সমাজ সেবায় দেশটা করবো জয়।
ছেড়েও দিলাম, তবু একি জ্বালা!
রাস্তাজুড়ে কেন অবিশ্বাসের পালা!
ঘরের মাঝেই থাকছি কতকদিন,
ক্রমে ক্রমে তাই খাচ্ছি করে ঋণ।
হাজার বিশেক ধার হয়েছে মোটে,
পারলে পালাই ওই ধারের’ই চোটে।
ছি! এটা আবার জীবন হল নাকি!
জীবনটা আমার পূর্ণ-মাত্রায় ফাঁকি।
দিনে-রাতে আসছে সব ঋণদাতা,
ঋণ চেয়ে তারা খুলছে হিসাব খাতা।
চেপেছে মাথায় অপমানের এই বোঝা,
দংশনের বিষ নাশিবে কোন ওঝা।
যায় না দেখা লাজের চক্ষু মেলে,
তাই ভেবেছি গলা’ই দেবো রেলে।