শ্রাবণ দিনে জোছনা রাতে ঘুমিয়ে থাকো শান্ত মনে
বর্ষার মেঘ তুমি এমন করে কাঁদছো কেন ?
তোমার কান্নার শব্দে চারিদিকে উথাল পাতাল,
সবকিছু ভাসিয়ে দিয়ে অথৈ জলে ডুব দিয়েছি
তোমার জলে খেলা করি, তোমার জলে কাঁদি
তোমার জলে আঁচল বিছিয়ে শাপলা শালুক খুঁজি।
শ্রাবণ মেঘের ঘনঘটায়, দাওয়ায় বসে চণ্ডীপাঠ
রবি ঠাকুর তুমি কেমন আছ বারে বারে মনে পড়ে।
শ্রাবণ মেঘের বর্ষণে, তোমার রক্ত করবীর নন্দিনী কাঁদে তোমার সব স্মৃতি, সমস্ত কবিতা গল্প মঞ্চে মঞ্চে বেজে ।
প্রয়াণ হয়েছো, প্রকৃতির নিয়মে তুমি তো বেঁচে আছো
এই ধরায় তোমার শিল্পকর্ম, তোমার গান, গল্প কবিতায় আজো দেখি ছুটির ফটিককে, বাংলার ঘরে হৈমন্তীকে।
চারিদিকে ঘন কালো মেঘ এই বুঝি ঝুম বৃষ্টি নামবে আবার মেঘ কেটে চলে যায়, সাদা মেঘ ভাসতে থাকে
নীল আকাশ গগন চুম্বী হয়ে জ্বলে, দূর থেকে কিষানী রক্তাভ মুখে, ঘাম বোছে বাড়ি ফেরে ফসলের আশায় ।
কেয়া বনে হাসনাহেনা, গন্ধরাজের মাতাল করা গন্ধে আকুল করে হৃদয়, তেমনি কুমারী নারী মনের ব্যাকুলতা হারিয়ে যায় নিজের মধ্যে বারে বারে ফিরে আসে ভরসায়।
শ্রাবণ মাসে ঘন ঘন মেঘের আড়ালে সূর্য হাসে
অমর হয়ে আছো বাংলার গীতিতে,বাংলার সাহিত্যে
তোমার গান, কবিতায় আজও মুখরিত হয় বাংলার আকাশে বাতাস, পথে অন্তর তোমার সেই শ্রাবণ মেঘের জোসনা রাতে সবাই গেছে বনে এখনো জ্যোৎস্না রাতে ঝিঁঝি পোকা ডাকে এদিকে খুঁজি ওদিকে খুঁজি সবখানে রবি ঠাকুর গানগুলো ভেসে আসে,কানে বাজে নতুন সুর আমাদের তরুণ মনে তুমি বলেছিলে বাংলার মাটিতে সবুজ ঘাসে, সোনালী ফসল ফলবে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটবে।
০৭/০৮/২০২৩
নন্দিনী লুইজা
শিক্ষক, লেখক, গবেষক ও প্রকাশক
বর্ণপ্রকাশ লিমিটেড