সাংবাদিকের কারিশমা পত্রিকার শিরোনামে
যখন হেরে যাও কেন হারলে তা না ভেবে,কারণ না খুঁজে -
আপন মনে জাল বোনো, কাকে দোষ দেবো- কে দিয়েছে চিমটি,
এমন ভাবে উপস্থাপন করে যত দোষ নন্দ ঘোষ, বেটা ছিল গাছের আড়ে।
এমন সময় কোলাহল বেঁধে গেল, হাতের কাছে যা আছে তাই নিয়ে,
চুড়ান্ত ডামাডোলে একে একে লোক বাড়তে লাগলো মাঠে।
একে অপরকে প্রশ্ন করে কি হয়েছে ভাই ?এমন কান্ড -
সঠিক কারণ জানে না কেউ,চলছে লড়াই মরণপণ কে জেতে,
সাংবাদিক ভাইয়েরা হেসেই কুটি কুটি , খাসা,গরম, তাজা খবর।
পত্রিকার মালিক বেজায় খুশি, খবরের কার্তি বটে, ফলাও করে,
বড় বড় অক্ষরে পত্রিকার শিরোনাম, হকারের চিৎকার।
সাধারণ জনগণ শিরোনামে আর চিৎকারে অন্য খবর প্রচারে,
তিল কে তাল বানাতে, সোনা রেখে আঁচলে গিট, সিদ্ধ হস্ত;
বাঙালি বলে কথা, এক মুখে আল্লাহ খোদা অন্য মুখে রাম রাম,
এযে বড় কঠিন চিড়িয়া,সকাল বিকাল যায় না বোঝা, সৃষ্টিকর্তা জানে তা।
এমন করেই দিন যায়, মাস যায় বছরও হিরক রাজার দেশে
রাজা, উজির, পাইক, পেয়াদা, পুলিশ ভাইয়েরা ঘটনাস্থলে।
সাইরিনের শব্দ তুলে, বাঁশি ফুঁকিয়ে বীর দর্পে পৌঁছায়-
সতর্কতায় সবাই পালায়, ঐ যে গাছের ডালে বসে তামাশা দেখে!
নন্দ বেচারার হাতে কড়া পড়ে, পুলিশের লাঠির বাড়ি খেয়ে,
কার্ভার ভ্যানে উঠে আর হাত জোড় করে, করুণ সুরে বলে-
বাবু আমার কোন দোষ নেই, প্রাণের ভয়ে গাছে, এখন আপনাদের কারাগারে।।
নন্দিনী লুইজা
২০/০৪২০২৪