প্রকৃতির বর্ষণে শান্ত ধরিত্রী


প্রকৃতির এক অনিবার্য বর্ষণকে ভুলেতে বসেছি যখন-
গ্রীষ্মের দাবদাহ তাপে উত্তপ্ত প্রকৃতির জীবজন্তু গাছপালা।   চারদিকে হাহাকার করে এক ফোঁটা জলের তৃষ্ণার্ত বেদনায়,
অবিনাশীবাদ তত্ত্বের ব্যাখ্যায় পৃথিবী ঘূর্ণিপাকে আবর্তিত হয়।
আমরা মানুষ বারবার প্রকৃতিতে হানা দেই,ক্ষতবিক্ষত করি,
ভুলে যাই প্রকৃতি প্রতিশোধ নেবে সুযোগের অপেক্ষায় - নিস্তার পাব না প্রকৃতির দাবানল থেকে, নিরবে নিভৃতে ।

যা কিছু পৃথিবীতে তৈরি হয়েছে মানুষের প্রয়োজনে, কল্যাণে,
সেই কল্যাণ ধ্বংস করতে থাকে মানুষ নামের অমানুষ গুলো।
নিজের স্বার্থে যতটা নিষ্ঠুর হয়ে প্রকৃতিকে ধ্বংস করেছে, প্রকৃতি মনে হয় অতটা কঠিন হতে পারে না মানুষ সৃষ্টির জন্যে ।

অপার মহিমা নিয়ে তাইতো আকাশ ভেদ করে অঝোর ধারায় ঝরছে,
প্রকৃতির হৃদয়ে আনন্দের বন্যা বইছে ভুবনে, ঘন বরষায়।

মাটি ফেটে চৌচির পানি যখন একেবারেই নিঃশেষ প্রায় , ঠিক সেই সময় এমন বর্ষণে ভরিয়ে দিলে প্রকৃতির আঁধার। তাই তো বর্ষণমুখর সন্ধ্যা দেখে পুলকিত মন আনন্দে নাচে,
কবি মন ব্যাকুল প্রায় বৃষ্টির রিনিছিনি শব্দে, শো শো বাতাসে।
ধূলি মাখা পথে বৃষ্টির পানিতে যত জঞ্জাল সাফ করে দিয়ে,
প্রকৃতি আবার নতুন করে সাজে, বাঁচার আস্বাদনে ফুল ও ফলে,
ভালোবাসার ডাক দিয়ে যায় পূজার অর্ঘ হাতে, উলু ধ্বনি তুলে।

২৮/০৫/২০২৪
নন্দিনী লুইজা
বর্ণপ্রকাশ লিমিটেড
চিত্র শিল্পী : নন্দিনী লুইজা