মাঘী পূর্ণিমায় মানবের দীক্ষা
আকাশে তারার মেলার মাঝে মাঘী পূর্ণিমার চাঁদটাকে বড়ই অপূর্ব লাগছে,
সবাই এই চাঁদ নিয়ে কত গল্প, কবিতা লিখছে
প্রেমিক প্রেমিকার তরে।
কিন্তু এই মাঘী পূর্ণিমার তিথিতে বৌদ্ধ ধর্মের যে মূল মন্ত্র রচিত হয়েছিল মানুষের কল্যাণে,
যার মন্ত্র ছিল অহিংসা, সংযম, শুদ্ধাচার আর নৈতিকতা শিক্ষা, মানুষের সুন্দর জীবন ধারা।
আমরা সবাই ভুলে যাই এই পূর্ণিমায়, চাঁদের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রই,
পূর্ণিমার ঝলসানো আলোতে রাতের আঁধার যেন মায়াবী হয়ে ধরা দেয় এই জমিনে।
গৌতম বুদ্ধ ধর্ম প্রচারে এসেছিল মানুষের মাঝে চারটি বাণী পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠিত করতে,
স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে শিষ্যরা গ্রহণ করেছিল অমিয় সেই কথা ছড়িয়ে দেবে বিশ্বময়ী।
কিন্তু আমরা মানুষ জাতি স্মরণ করে জীবন চালাতে পেরেছি কি??
নাকি এই দিনটি এলেই আয়োজনের শেষ নেই, প্রার্থনার শেষ নেই, সবাই ধার্মিক বনে যাই ;
যেন সমস্ত প্রার্থনা, সমস্ত চাওয়া পাওয়া আজকের দিনটিতেই ঘিরে আছে।
এই মাঘী পূর্ণিমার তিথি একটি ক্ষণ মাত্র কিন্তু এর গভীরতা, মর্মবাণী ঢের বেশি,
আমরা মানুষ জাতি কতটুকু পেরেছি তার মূল্যায়ন করতে।
আমরা যে ধর্মের হই না কেন, বাণী চারটি সবার তরে প্রযোজ্য,
কোন ধর্মই তো আপনাকে আমাকে অন্যায়ের পক্ষে বলে না করতে।
তাই এই মাঘী পূর্ণিমা রাতে বৌদ্ধ ধর্মের শুধু নয়, আমরা সব মানুষ যতটা পারি -
সবার মধ্যে বীজ বপন করি আর নিজেদের আত্মশুদ্ধির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি।
এই দেশ, এই পৃথিবী মানুষের কল্যাণে, হানাহানি ভুলে ন্যায়ের পথে, সাম্যের পথে -
মানুষ মানুষের জন্য, এই ধর্মে দীক্ষিত হোক, জীবনের পূর্ণতা আসুক কর্মে।
নন্দিনী লুইজা
১৩/০২/২০২৫