জীবন কাঁটার ঘড়ি

অহংকার, বড়াই, ক্ষমতা আর বাহাদুরি,সবই মানুষের রিপু,
ক্ষনিকের অতিথি এই পৃথিবীতে সবাই ভাবে আর নাহি যাবো।
মানব দেহে চলে ঘড়ি টিক টিক করে চাবি দেওয়া বন্ধ হবে,
অচল ঘড়ি মেরামতের কোনো কারিগর কোথায় পাবে শুনি!
সময় ক্ষেপণ না করে তাড়াতাড়ি তৈরি করে শবযাত্রার যাত্রা,
কেউ পুড়ে ছাই হয়ে চিতায়, কেউ বা মাটির অন্ধকার কুঠিরে ঘুমায়।
ভালো কাজের পুরস্কার পায়, কর্মে আলোকিত হয় চারপাশ,
অন্যায়, অত্যাচারের মৃত্যু হয় না, যুগে যুগে বয়ে বেড়ায় যন্ত্রণা নিয়ে
এত কর্মের ভিড়ে আমরা হারিয়ে যাই বিকারগ্রস্ত চেতনায়।
পার্থিব জীবনের ভাবনায় বিভোর মন- অন্যের ভালো নাহি চায়,
আমার আমার করে সাম্রাজ্যের পাহাড় গড়ে নিজের  আঙিনায়-
কাঁটা তারের বেড়া টপকে হিংস্র অহংকারী হায়না ছোবল মাড়ে।
ভুলে যায় এই পরিণতি আসবে ফিরে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে,
বুকের উপরে চড়ে সাপ ফণা তুলে- জীবন ঘড়ির কাঁটায় ছোবল দেবে।
অশুভ চাওয়ায় আল্লাহ, ভগবান, ঠাকুর পূজায় চলবে না ঘড়ি,
তখন জীবনের হিসেব মিলে নিও,ক্ষমতা,দম্ভ নয় চিরস্থায়ী।
ছোট ছোট অনুভূতি, ছোট ছোট দুঃখ ব্যথা সম্বনয়ে পৃথিবীর সৃষ্টি-
উপরে, নিচে, ডানে, বাঁয়ে সব জায়গায় সৃষ্টিকর্তার বসবাসহ।
এত রহস্যের চলচ্চিত্র দেখেও না শেখে, আপন পরের ব্যবধান,
কবে মানবাধিকারের দরজা উম্মোচন হবে শান্তির পতাকা উঠবে।

২৯/০৯/২০২৪
নন্দিনী লুইজা