ধৈর্য্য
কাঁদায় পড়ে হাবুডুবু খায়, বিজ্ঞজনেরা যতই মাথা চুলকায়, টাকার কাছে সবাই কুপোকাত,বোকার রাজ্যে বাস, সব বৃথা অর্জন।
হাতি বৃহৎ প্রাণী সবাই তাকে মানে, যদি কখনো ভুলে কাঁদার মধ্যে পড়ে-
তাকে তোলার চেয়ে চেপে ধরে আরও যেন ডুবে যেতে থাকেস।
অসহায় হাতি কাঁদার মধ্যে বাঁচার আকুতি নিজে থেকেই করতে থাকে,
এই সুযোগে বনে যারা আছে তারা এসে হাতিব নাকে মুখে শুঁড়ে ঢোকে।
পিঠে চড়ে ইচ্ছামতো তাক ধিনা ধিন নাচন করতে থাকে,
অহা্ হাতি প্রাণপণ চেষ্টা করে বাঁচার তাগিদে সব কিছু সহ্য করে।
কথায় আছে-" বিপদে পড়লে চামচিকাও নাকি লাথি মারে" হাতির হয়েছে তেমনি দশা কোনো বুদ্ধি তার কাজ নাহি লাগে।
প্রখর রৌদ্রে কাঁদা শুকিয়ে আসে, হাতি গা ঝাড়া দিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে,
হঠাৎ করেই হাতির একটি পা শক্ত মাটির স্পর্শ পেয়ে যায়; ওমনি হাতি সমস্ত শক্তি বলে দেহটাকে মাটি থেকে তুলে শক্ত জমিনে আসে।
অনেকটা হয়েছে বুঝ বিপদে পড়লে কাছে হয়ে যায় দূর, তেমনি হাতি আপন পর বুঝতে শিখেছে সময়ের ব্যবধানে। এবার হাতি বুঝতে পেরেছে মাথায় যত বুদ্ধি থাক তার নাই এক পয়সা দাম,
দেহশক্তি আর মনোবল যদি পুঁজি হয়ে থাকে বাঁচার নিশ্চয়তা শতভাগ।
জীবন চলতে গেলে কত কিছুই না চোখে পড়ে, কিছু দেখা কিছু আদেখা-
এভাবেই শক্ত মাটির পরে নিজের মনোবলকে স্থির করে দৃঢ় চিত্তে এগিয়ে যাবে।
ক্ষণিকের তরে চমচিকা তাকে যে পরিমাণ অপদস্থ করেছে,
চামচিকা কি কখনো হাতি হয়ে জন্ম নিতে পারবে পৃথিবীতে?
বিপদে পড়লে যে তোমার পাশে এসে দাঁড়ায়, সেই প্রকৃত ভালবাসার আঁধার,
তাকে তুমি দূরে ঠেলে দিও না কখনোই, কোনো ছলে আর বলে।
ধৈর্য ধরো হাতির মতো তুমিও এক সময় কাদা থেকে মুক্ত হয়ে ঢ়,
নিজের সুগন্ধি ছড়িয়ে যাবে পরিবার, সমাজ, দেশ থেকে রাষ্ট্রের পরিসীমায়।
নন্দিনী লুইজা
০৪/১১/২০২৪