বর্ষার ভেলায় চড়ে শৈশবে পাড়ি জমাই


টিনের চালে বৃষ্টির রিমঝিম শব্দে ফিরে যাই শৈশবে,
ফেলে আসা দিনগুলি-বৃষ্টির পানিতে খলশে মাছ ধরতে।
কাগজের নৌকো বানিয়ে পানিতে ভাসিয়ে খেলেছি কত খেলা,
আজ সব হারিয়ে গেছে,স্মৃতির ভেলা ভাসাই বৃষ্টির পানিতে।
এখন বৃষ্টির শব্দ আর কানে আসে না ইট পাথরের দালানে,  কখন বৃষ্টি ঝরে, থেমে যায় কানে কোন শব্দ আর বাজে না। চারিদিকে শুধুই কৃত্রিমতার ছোঁয়া প্রকৃতি সৌন্দর্য হারায়,
ছেলেবেলার পুতুল খেলায় ঝগড়া বিবাদ করে -
আড়ি দিয়েছি আর খেলবো না বাপের জনমে।
সহপাঠীদের সাথে মাঠে গিয়েছি খেলতে,
অমনি আষাঢ়ের মেঘ গুড়ুম গুড়ুম শব্দে ডেকেই চলেছে।
বাড়ি ফেরার নাই তাগাদা দামাল ছেলের দল, মাঠে করছে খেলা,
বিকেল হলেই লেবার মাঠে ঘুড়ি উড়ানোর তালে
রঙ বাহারি ঘুড়ি ওরে দিগন্ত আকাশে।
চারিদিকে কালো মেঘের ঘনঘটা ফিরতে হবে বাড়ি,
লাটাই এ সুতা প্যাঁচাই আপন মনে বাড়ি ফেরার তাগিদে।
দামকা হওয়ার সাথে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ে,
রংবেরঙের ঘুড়িগুলো সুতার সাথে অক্ষত রইল না-
সেই কষ্টে আজও কাঁদি বৃষ্টির শব্দের তালে তালে।

০১/০৭/২০২৪
নন্দিনী লুইজা