বাংলার কারবালা
কারবালার যুদ্ধ দেখেনি মানুষ কত শতক বছর আগে,
ইতিহাসের পাতায় পড়ে জেনেছি কারবালার করুণ পরিনয়।
শুনেছি অনেক গল্প কাহিনী ইসলামের আদর্শ রক্ষার্থে জিহাদ,
এ ধরনের সহিংসতা তখনই ঘটে অন্যায় যখন মাথা চাড়া দিয়ে থাকে।
ইতিহাস তারপরও থেমে থাকেনি পৃথিবী থেমে থাকে না- সভ্যতার ইতিহাস দিনে দিনে পাল্টায় কালের সাক্ষী হয়েস।
মানুষের বুদ্ধিমত্তা, প্রযুক্তি জ্ঞান, সবকিছুই পরাজিত সৈনিক হয়ে,
কারবালার প্রান্তরে হোসাইনের সাথে ইয়িজিদের দ্বন্দ্ব সেই কবে থেকে।
ইরাকে ৬৮০ খ্রিস্টাব্দে ১০ মহররম ধর্মীয় অনুভূতিতে সত্য এবং ন্যায়ের লড়াইয়ে,
রক্তের বন্যায় হোসাইন পরিবারের ৭২ জন শহীদ হয় পানির অভাবে তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে।
অন্যায়কারীরা, এখানেই নয় ক্ষান্ত হোসাইনের মস্তিষ্ক বিচ্ছেদ করে,
কারবালার মাঠে অসম্মানে ফেলে রেখে রক্তের হোলি খেলে।
ইসলাম ধর্মে এটা কেবল শোক নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ,
জঘন্যতম ঘৃণিত অপরাধ যা পৃথিবীর মানুষ স্মরণ করে।
এত বছর পর বাংলার মাটিতে সত্যিকারের কারবালা দেখতে পেলো জনগণ,
সেদিন ইতিহাসের পাতায় পড়েছিল, উপলব্ধি কতটুকু করতে পেরেছিল ???
আজ বাংলার ঘরে ঘরে তরুণ তাজা প্রাণ মুক্ত স্বাধীন দেশে,
ন্যায্য ভাবে প্রত্যেকের নিজস্ব অভিমত এতটুকু প্রকাশ পেরেছিল।
নতুন করে কারবালার যুদ্ধ বাংলার মাটিতেই ঘটে গেছে,
বাংলার তরুণ সমাজ ব্যক্তি স্বার্থ ভুলে দেশ রক্ষাতে সমষ্টিক প্রয়োজনে -
অন্যায় মিথ্যা প্রহসন থেকে জাতিকে ধ্বংসের মুখ থেকে বাঁচাতে,
তরুণ প্রাণ বাংলার কারবালায় রক্ত ঝরিয়ে "হয় মবর না হয় বাঁচবো"
এই প্রত্যয়ে দেশকে মুক্ত করেছে অসভ্য, বর্বর ফ্যাসিবাদীর বিরুদ্ধে।
অন্যায়কারীকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে "সত্যের জয় চিরতরে হয়"
এই বাংলার মাটিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কে গলা টিপে হত্যা করা, এত সহজ হয়।
২১/০৮/২০২৪
নন্দিনী লুইজা
শিক্ষক,কবি, লেখক, সমাজ কর্মী
বর্ণ প্রকাশ লিমিটেড