আর্শীবাদ

ঋণ পরিশোধ করার মতো একটি কড়িও নেই
সারাদিন ঘুরেছি পথে পথে কোথাও পাইনি কড়ি।
দিনে দিনে বেড়েছে দেনা নগদ রেখে নকল কেনা,
পথ হারিয়ে বিপথে যাই,আবার ফিরে আছি স্মরণে
তোমার শিক্ষা তোমার দীক্ষা আমাকে চালিত করে
পথ হারা পথিক হাঁটতে থাকি তোমার অন্বেষণে-
স্নেহ মমতায় বেঁধেছো মোদের, তৃপ্ত করেছো ঢের।
রিক্ত করে কোথায় গেলে, আজও শয়ণে জাগরণে
ভালোবাসার সেই পরশ, বুলিয়ে দাও সকাল সাঁঝে।

নারী দেখে আটপৌরে শাড়ি যবে থেকে জড়িয়ে নিলে,
নিজেকে তৈরি করার আগেই জানান দেওয়া হলো-
বাঙালি ললনা স্বামীর ঘরে যাও,সমাজ সংসারের দাবি।
পরিবারের অন্য সবার কথা ভেবে নিজের ইচ্ছাটাকে
মুখ ফুটে বলতে পারোনি,আমি মানুষ সিদ্ধান্ত আমার।
হায়রে নারী তরল পদার্থ হয়েই বেঁচে থাকল আমৃত্যু
নতুন জীবনে এসে ভাবছো এ কোন গোলক ধাঁধাঁ
ভাল মন্দ যাক হারিয়ে, চলছে জীবন এক্কাদোক্কা।
এমনি করেই ঝরা পাতার মর মর ধ্বনি,বাজে মনে,
মেনে নিয়েছে বালিকা- খেলার সাথীর সাথে সখ্যতা
ভুলে গিয়েছে দিনে দিনে, এখন শুধুই অন্যের নারী।

অল্প জীবনের আয়ু বুঝে উঠার আগেই আতরের গন্ধ,
কৃষ্ণচূড়ার ডালে বসে ঘুঘু পাখি ডেকেই চলে আনমনে।
প্রকৃতির নিয়মে রাখতে পারিনি ঘরে, স্থায়ী বাসস্থানে!!
নিয়তির খেলায় আমরা ঘুরপাক খাই সাপ লুডু খেলায়,
পারছি না আগ্রাসী মনোভাবের মাঝে অচল পয়সা হয়ে।
কীর্তি মানের মৃত্যু নেই ওদের কাছে ধান ভানতে শিবের গীত!
ক্ষমা কর মাগো,ওদের জন্য দুঃখ,কষ্ট,মায়া,আফসোস হয়
সাত সমুদ্র তের নদী শুধায়- কোথায় পেলে শক্তি সাহস,
আর্শীবাদ কর তোমার দামাল ছেলেরা বিজয় আনবে নিশ্চয়।

১২/০৫/২০২৪
নন্দিনী লুইজা
মা দিবসে আম্মাজিকে উৎসর্গ