আজও ঘরে ঘরে রবী ঠাকুরের হৈমন্তী


রবি ঠাকুর যে কথাগুলো তুমি সমাজের জন্য শত বছর আগে বলেছো,
আজও তার কোন পরিবর্তন হয়নি, হয়তো অবস্থা, ধরনের পরিবর্তন হয়েছে।
তোমার হৈমন্তীরা এখনো বাংলার ঘরে ঘরে গুমড়ে কাঁদে,
তুমি তো আগেই আগাম বার্তা দিয়েছিলে তারপরেও কেন? বাঙালি ঘরের বাবা-মা সহ্য করে মেয়ে শিশুর প্রতি এই অত্যাচারে।
  নারীর মুক্তির জন্য পদক্ষেপ ঢের হয়েছে নেওয়া, তবুও  আত্মহত্যা
যদিও আধুনিকতার ছোঁয়ায় অনেকেই বলে হৈমন্তী মুক্ত স্বাধীন।
রবী ঠাকুর হৈমন্তীরা  স্বাধীন হয়নি তাদের পায়ে অদৃশ্য  শিকল পরানো আছে,
কবে ভাঙবে সেই বন্ধন,কবে মুক্ত হবে সেই  প্রতীক্ষায় হৈমন্তীরা।
যে হৈমন্তী পাহাড়ের পাদদেশে গৌরবাবুর সন্তান একা মানুষ হয়েছে,
পরের ঘরে গিয়ে সমাজের চোখ রাঙানি যেন পশুর মুখে মাংসের থাবা।
নারী স্বামীর ঘরে গিয়ে যখন নিজের ঘর বলতে দ্বিধা দ্বন্দ্ব লাগে
এ যেন অধিকার আদায় করার চেয়ে অধিকার রক্ষা করার বিড়ম্বনার সামিল।
বিবাহে পণের দায়ে যত না মারে হাতে তত মারে ঠোঁটে-
এখনও বন্ধ হয়নি রবী ঠাকুর পণের ব্যবহার,ধরণ পাল্টেছে।
কত হৈমন্তীর অকাল মৃত্যু হচ্ছে,তা জানে না সমাজ সংসার,
নারী মানুষ হয়ে বাঁচতে চায়, সম্পত্তি নয় সম্পদ হয়ে আজীবন।


রবী ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে
০৮/০৫/২০২৪
নন্দিনী লুইজা
উপদেষ্টা
জাতীয় সাহিত্য অধিদপ্তর বাস্তবায়ন পরিষদ