আগ্রাসন ঠেকাতে সাম্যের জয়যাত্রা


চকচকে পালিশ করা সমাজকে দেখে আমরা ভিমরি খেয়ে পড়েছি,
উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে দেশ জনগণের চেহারায় রয়েছে চাকচিক্য -
আর আধুনিক লেবাস যা দেখে মনে হতেই পারে আনন্দের বহিঃপ্রকাশ।
মনে হতেই পারে কোন রাজ্যে বসবাস।
কিন্তু গভীর রাতে নির্জন পথে যখন এক পা দু পা করে হাঁটি আর চিৎকার শোনা যায়।
প্রতি রাতে কে কাঁদে,কিসের শব্দ আকাশে বাতাসে,
নাকি এটা কোন করুণ বীণার সুর ভেসে আসে।
তালাশ করার সময় কোথায় পাবে যান্ত্রিক যুগের এই মানব সভ্যতা,
দিনে দিনে একাকিত্ব নগরবাসী মনুষ্যত্ব,বিবেক বিসর্জন দিচ্ছে,
সারা বিশ্বব্যাপী চলছে তাণ্ডব দহন, তারপরেও থেমে নেই- মানুষে মানুষে হিংসা-বিদ্বেষ, খুন, হত্যাকাণ্ড আর ধর্ষণ।
কবি, সাহিত্যিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে মানবতা আর সৌহার্দ্যের কথা বলছে,
মানুষ বাঁচাও,জাতি বাঁচাও, বাঁচাও দেশের জনপদ।
সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘুনপোকোর বসত ভিটা-
আস্তে আস্তে খেয়ে ফেলছে ভেতরে আছে যত অঙ্গ পতঙ্গ তারপর খেয়ে ফেলছে সমাজের মগজ -
বড়ই দুর্ভাগা জাতি আমরা প্রতিনিয়ত বেশ্যাচি করছি, নিজের সাথে আপোষহীন ভাবে আপন আপনার সাথে।


২৮/০৬/২০২৪
নন্দিনী লুইজা
বর্ণপ্রকাশ লিমিটেড