১৯৭৫ সাল : আগষ্ট থেকে নভেম্বর জাতিকে কাঁদায়
তোমাকে ও তোমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের
নিশংসভাবে নিশ্চিহ্ন করেও মীরজাফর মোস্তাকের বাহিনী শান্তি পায়নি ভেতরে দুশ্চিন্তা ছিল জেলে বন্দি চার নেতা,
বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত,চার কান্ডারী, বাংলাদেশের চার খলিফা
তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখা, শর্তসাপেক্ষে,মোস্তাকের নির্দেশে।
মোস্তাকের শাসন মেনে নিলেই, চারনেতা মুক্ত ও স্বাধীন,
বন্দী চারনেতা জানতে পারে, বঙ্গবন্ধুসহ পরিবার খুন ।
কোন ক্রমেই নীতি আদর্শকে জলাঞ্জলি দেয়নি তাঁরা সিদ্ধান্তে অটল ছিল, তারা বলেছিল কুকুর বিড়ালের মত বেঁচে থাকার চেয়ে বাঘের মত মৃত্যুও শ্রেয়, তাই তাঁরা -
মৃত্যুকে বরণ করেছিল, মোস্তাকের নির্দেশ পারেনি মানতে
৩রা নভেম্বর
বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা
ইতিহাসে যোগ হয় আরও একটি জঘন্যতম অধ্যায় ।
জাতি ভুলবে না,
তাজউদ্দিন আহমেদ,সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী আর এএইচএম কামরুজ্জামান।
থাকে বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি, চারনেতার উত্তরসূরী বাংলায়
তারা বেঁচে আছে,স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের সাথে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তাঁর চার সুযোগ্য বিশ্বস্ত নেতা
তাঁদের আত্মার মৃত্যু হয়নি, তাঁরা আছে, তাঁরা থাকবে
বাংলার আনাচে কানাচে, মানুষের আদর্শে ও চেতনায়।
০৩/১১/২০২৩
নন্দিনী লুইজা
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
পাক্ষিক আমাদের জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু