~গম্ভীর

সময়কে ধরে রাখবার সাধ্য আমার নাই,
যতদিন সভ্যতা থাকবে ততদিন এই প্রবাহমান সভ্যতার বুকে দাড়িয়ে একাধিক মিথ্যা-সত্যের কাটাকুটি খেলায় সাময়িক ঘোষণা যাইহোক,
সত্যরা মাথা তুলে দাড়িয়ে একদিন জবাব দেবে।

আরও একটা গল্প লেখা হবে না,
হবে না কবিতা লেখা,
ধরতে না পারা ইচ্ছে গুলো নিয়ে
আর হয়তো ছবি আঁকা হবে না।

নৌকা মাঝি দেশ থেকে দেশান্তর করে বেরাবে,
তখন ঘাটে দাঁড়িয়েযাত্রীরা যতই অসহায় হয়ে হাত নাড়ুক মাঝির দৃষ্টি নামবে না
সে ঈশান কোণে।

বেনামে আর উড়ো চিঠি লেখা হবে না,
লেখা হবে না শহরের ব্যস্ত স্টেশনে বসে
কাধে কাধ রেখে গল্প,
আঁকা হবে না কোনো অলীক কল্পনা গুলোকে।

যে চঞ্চলা তনয়ার অভিমানে তারা কবিতা লিখে গেছে,
লিখে গেছে একটার পর একটা উড়ো চিঠি,
এঁকে গেছে ইচ্ছের জল ছবি
তাও হয়তো আর আঁকা হবে না।

যেটুকু পরিবর্তন এনে তারা এ সভ্যতাকে নিজ পায়ে দাড় করাতে চেয়েছিলো,
প্রতি মাস চুক্তি উপন্যাস,
উপন্যাসের পাতায় পাতায় যারা রেখে যেতে চেয়েছিলো নব সূচনার ছাপ
তারা আর কখনো ফেরেনি সে দেশে।
অতীত নামক মাৎস্যন্যায়, ইমোশন নামক প্রগতিশীলতায় তারা আটকে বেঁচে আছে।

বেকারত্বের ভয়ে যারা দেশ ছেড়েছে,
রোজগারহীন কবিকে যারা দূর থেকে দেখে
আগ্রহ নিয়ে কাছে এসেছে
বেকারত্বের কাছে তাদের আগ্রহও
শেষে হারিয়ে গেছে।

তবুও হয়তো
আবার, আবারও একটা গল্প লেখা হবে,
একটা কবিতা লেখা হবে,
তবে সেখানে চঞ্চলা তনয়া- গম্ভীর,
কিংবা উড়ো চিঠির আদান-প্রদান আর থাকবে না।

তাই অবশেষে,
নীরবতা ছাড়া আমার দেওয়ার কিছুই নাই।