আমি এক বন্দীশালায় লিখছি বসে
তোর বুকের যত উত্তাল ঢেউ,
ভয়হীন নাগরিকের বাসে চড়ে
উড়ে যাবি, রাখবি না পিছুটান,
ডাকবেনা কেউ।
আমি এক বন্দীশালায় লিখছি বসে
তোর সব নিশ্বাসের নাম,
লিখেছি কোশী দামোদর বলে,
রেখেছি ধ্বংসেরও দাম।
কাধে মাথা রেখে ভরসা করেছে যারা
তারাও পেয়েছে একাত্তর,
তবে কিভাবে এতো দুঃসাহসিকতা?
যেখানে রয়েছে রক্ত,
রয়েছে গোলাবারুদের সত্তর।
নিয়ম করেই হারিয়ে যায় সব
হারিয়ে যায় কত বিপ্লব,
ব্যারিকেড ভাঙা প্রেম,
অজস্র প্রতিশ্রুতি,
প্রলেতারিয়েতের চিৎকার ,
একটা তিলোত্তমা কিংবা
ফাঁকা পাকস্থলীতে না পাওয়া
রাষ্ট্রের একটিও রুটি৷
শুধু থেকে যায় প্রথম স্পর্শ,
না বুঝেই প্রথম মা বলা,
প্রথম কবিতা,
কিংবা প্রথম চুম্বন।
এই বন্দীশালা
গাল,
কপাল
কিংবা ঠোঁটের সমাধান বোঝেনি।
বোঝেনি সে অজানা পথে কলেজ স্ট্রিট,
বোঝেনি সে দেহের কোমলতার উদাসীন কোনো স্পর্শ ।
তবুও আর একটাও অসভ্য পিকাসো খুঁজে পাইনি,
খুঁজে পায়নি দ্বিতীয় কোনো রবীন্দ্রনাথ ।
তবুও সভ্যতার দিকে দিকে শোনা যায়
প্রেম প্রেম প্রেম।
এও কি সত্তরের সেই ঘরছাড়া বিপ্লব,?
কোনো এক পদাতিকের বুকের আর্তনাদ?
এও কি সেই পথহারা নাগরিকের হতাশার গান?
এও কি সেই খালি পেটে দিক হীন কোনো জাতীয়তাবাদ?
এতো গুলো সত্য মিথ্যার সীমারেখায় দাঁড়িয়ে
আমি রাষ্ট্র আর প্রেমকে
আলাদা করতে পারিনা।
শুধু উপলব্ধি করতে পারি
প্রথম স্পর্শ
চোখ রাঙানো হিদাসপিসের থেকে
কম সত্য নয়।
কিংবা ষোলোর সেই
অতর্কিতে প্রথম চুম্বন
দ্বিতীয় কোনো সতীদাহ নয়,
খোলা আকাশের মতোই যা সত্য।
তবুও আমি লিখতে পারিনা
দ্বিতীয় কোনো রাষ্ট্র গান
কিংবা অধরা যত প্রেম-ট্রেম।
গাইতে পারিনা
উদাসী হওয়ার অজানা কোনো রাতে,
তোর অলস কোনো দ্বিপ্রহরে৷
তুবুও লিখে রেখে যেতে চাই
অবশেষে
সেই ষোলোর
স্রোতে ভেসে,
কোনো এক পদাতিক উদ্দেশ্যে।