হারিনী তুই কেমনে থাকিস নীরব হয়ে
ধ্বংসলীলার শব্দ শুনে?
কেমনে চলিস পদব্রজে
বিশ্বযুদ্ধের কামান মুখে?

হারিনী তুই বড্ড বোকা
সবুজ বুকেই সবুজ আঁকিস,
সবুজ বুকে জ্বলছে বারুদ
তার কি কোনো হিসেব রাখিস?

হারিনী তোর দৃষ্টি নামুক
অনূত গনতন্ত্রের ঈশান কোণে।
তোর শব্দেই বিরাম নামুক
কিংবা কোনো রনে বনে।

আসলে,
এসব শুধু সত্যই বটে,
তবু কোনো শেষ সত্য নয়।
বেনুবনে কবে আধার নেমেছে বল,
তাই ভয়ে শঙ্কিত আমার হৃদয়।

যে খামারের বদল হবে
সে পশুরাই আঁকছে জাত-ধর্মের কল।
যে নির্জনতা বেছে নিয়েছিলাম,
সেখানে আজ দেখ কত কোলাহল।

হারিনী তোর মৃগনয়না
মত্ততা আঁকে সঙ্গোপনে,
তোর ওই শব্দে কিংবা মৃদু হাসিতে
বর্ষা নামে এই কঠিন মনে।

হারিনী তুই নব বিভাবসু
চলনে এক অবিকল রমা,
হারিনী তুই অদ্যাত্রয়ী কিংবা
কোনো তিলোত্তমা।