দিক হীন যত উত্তাল শীত,গ্রীষ্ম
কড়া নেড়েছে আমার দুয়ারে
আমি কারোরই খবর রাখিনি,
প্রবল বর্ষায় বাধ ভাঙা,
হেরে যাওয়া,
আমার যত নাগরিকের
চিৎকারের খবর রাখিনি।
দিক হীন হয়ে
একটার পর একটা
কবিতা লিখেছি,
মৃত কৃষকের অধিকার নিয়ে
রাজনীতি করেছি,
বারেবারে পালিয়েছি
সত্যের মুখোমুখি হতে।
কখন কি যে আমার হয়
আমি জানিনা।
তোমাদের ভগবানকে ডেকেছি
বহু অসহায় হয়ে
কিন্তু কোনো সাড়া এখনো পাইনি।
তুমি বলবে ডাকবার মতো ডাকলে
নিশ্চয়ই পেত,এ দোষ তোমার।
তবে কি তাহা কৃষকের ভগবান নয়?
নয়কি তাহা নিপীড়িত যত দলিতের?
যত অনাথ, বিধবার, পতিতার তরে?
মরুর বুকেই যদি মরুদ্দানের দেখা না মেলে
তবে সে সবুজ, সে সলীল দিয়ে
কাজ কি মহা প্রশান্তের?
আমাকে অন্ধ বলো,
কিংবা বলো কোনো এক ভন্ড।
তবুও আমি বলে যাবো
অপ্রিয় যত সত্য সকল,
রেখে যাবো সব আগামীর তরে,
মনে রাখা না হোক তবুও
আগামী খুঁজে নেবে তার সত্য যত
আবার সব কিছু ধ্বংসের পরে।