জেলের গরাদ ভেঙে সন্ন্যাসী

জেলের গরাদ ভেঙে সন্ন্যাসী
কবি
প্রকাশনী অনুরাগ প্রকাশনী
স্বত্ব কপিরাইট
উৎসর্গ মা' ঝর্না মন্ডল কে।
প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বিক্রয় মূল্য ১৬০ টাকা
বইটি কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

এই পৃথিবী শুধু মানুষের নয়।
এখানে হওয়ার কথা ছিলো যুদ্ধের পরিবর্তে প্রেম, ধ্বংসের পরিবর্তে সৃষ্টি,বক্তৃতার পরিবর্তে কবিতা  কিংবা লিটল বয়,  ফ্যাটম্যানের পরিবর্তে দুমুঠো ভাত। স্কুলের টিফিনের মতো ভাগাভাগি করে বাঁচার কথা ছিলো আমাদের কিন্তু মানুষ আবিষ্কার করে বসলো পরিমাপ পদ্ধতি। এখন প্রতি ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে মানুষেরই  আবেগ, অনুভূতির চলছে দর কষাকষি। বারেবারে শুধু অসহায় মানুষের বুকের উপর দিয়ে চলে গেছে কাঁটাতারের বেড়া।
"ছিলাম মোরা দুইজনা ভাই
ছিলাম সবাই আত্মীয়,
আজকে কেউ বাংলাদেশী
কেউ বা হলাম ভারতীয়।"

ভূমিকা

এই প্রবাহমান সভ্যতার একদম যে কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছি এই নিয়ে কারো কোনো সংশয় থাকার কথা নয়।তবে এই করুন নেক্রোপলিসে যদি একখানা সত্য প্রতিষ্ঠা করা যায় তবে এ প্রান জুড়াবে। রুম নম্বর-১১১ থেকে রুম নম্বর-১১২ এর মধ্যেই আটকে আছে এমনই এক জীবনের এক অধ্যায়।যে জীবনে ধরা দিয়েছে একাধিক অজানা সত্য। যে সত্য সভ্যতার বুক থেকে বারেবারে হারিয়ে গেছে কোনো অদৃশ্য শক্তির টানে।
যেমন দেশ ভাগ বলতে আমরা শুধুই বুঝি বা আমাদের বোঝানো হয়েছে ওপার বাংলা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফিরে আশা অসহায় মানুষের গল্প। এটা একদম সত্য কিন্তু এটাই কি শেষ সত্য? নাকি পেছনে লুকিয়ে আরও অজানা কাহিনী? শৈশব হারা শিশুটির কাছেও দেশ বলতে কি রাষ্ট্রের বলে দেওয়া দেশকেই বোঝায়? নাকি অন্য কিছু?  সাব অল্টার্ন হিস্ট্রি বা নিম্ন বর্গের ইতিহাস কি বাস্তব জনজীবনে একমুখী নয়?
কিংবা কাল সকালে উঠে শুনলাম আমার ভারতবর্ষ পশ্চিমের পাকিস্তানকে দখল করে নিয়েছে, তখনকি তাদের আমরা ভারতবাসী বলে ভাবতে পারবো? আমাদের কি ভ্রাতৃত্ববোধ জাগবে তাদের প্রতি?
কিংবা এই সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে আমাদের নেতাজি সুভাষ বসুই বা কিভাবে দেখতেন? বা রবীন্দ্রনাথের ন্যাশনালিজম কিসের ইঙ্গিত দেয় আমাদের? কিংবা জাতের যাঁতাকলে  নিপীড়িত অভিমানী কোনো রোহিত ভেমুলার সুইসাইড নোট আমাদের কোন রাষ্ট্র ব্যবস্থার ইঙ্গিত দেয়? কিংবা আমাদের চৈতন্য মহাপ্রভুর শেষ জীবন,?
সব সত্যকে কি আমরা অন্ধকারে ছুড়ে ফেলতে পারি?
যদি কোন পরিবেশবিদ বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বলতে গিয়ে প্রশ্ন করে বসে যে দিপাবলীর( দিওয়ালি) আতশবাজি উৎসব তা আদতেও  হিন্দু ধর্মের সাথে সম্পর্কিত নয়,এর ইতিহাস আমাদের অন্য কথা বলে তখনও কি সেই পরিবেশবিদ জনসমাজে গ্রহণযোগ্যতা পাবে ?
বা কেউ যদি চিৎকার করে বলতে শুরু করে ফেমিনিজম বা নারীবাদীর
যে ওয়েভ সভ্যতার বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে তা আদতেই ব্যর্থ,  
কিংবা কোন একজন রাজনৈতিক রঙবিহীন রাজনৈতিক সচেতন নাগরিক যদি ধুম করে প্রশ্ন করে বসে যে এ বাংলার বামপন্থী বা কমিউনিস্টরা ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে এক ভ্রান্ত ধারণা জন্ম দিয়ে আসছে?
এমনই একাধিক সত্যের মাঝে যখন এ বুকে আছড়ে পড়ে সম্পূর্ণ  এক ভিন্ন ধারার প্রেম ও বিচ্ছেদ তখন জীবন যে অজানা নতুন দিকে বাঁক নেয় সে নতুন পথের সন্ধানে পাড়ি দিতে গিয়ে সে পথ ছেড়ে আবার ঘরে ফেরা বড্ড কঠিন।