আমি ভারতবর্ষ,
আটাত্তরটা বছর কেটে গেল তবু
আমি ভালো নেই।
কোথাও ছিঁড়েছে আমার নিথর সে দেহ খানি,
কোথাও ঝাঁপিয়ে পরছে
আমার ভরা যৌবনের উপর।

আমার কাশ্মীর হতে অশ্রু নয়,
ঝরছে রক্ত,শুধু রক্ত।
তোমরা কি বুঝতে পারছো
সেই  যন্ত্রণা? সেই রাত?

আমার দুই রাজধানীর উপর
ঝরেছে  অজস্র পিচাশের লালা রস।
আমার নীলগিরিকে করেছে
মাঝ বরাবর দুইভাগ।

আটাত্তরটা বছর কেটে গেল
এই বুঝি মোর স্বাধীনতা?
আমার কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারীতে
দৈত্যের একশো তেরোটা থাবা।
আমার অন্তরে ধারন করেছে
দেড়শ গ্রাম পুরুষত্বের অহংকার।

আমার কর্ণাটক আর তামিলনাড়ুকে
দুই মেরুতে ছিন্নভিন্ন করে ফেলা হয়েছে।
আমার কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী
আজ সবুজ কাপড়ে ঢাকা।

দেহের মধ্যে বয়ে চলা রক্ত গঙ্গা
এখন জমাট বেঁধেছ, 
শহর জুড়ে ছড়িয়েছে আষ্টে গন্ধ।

শাস্তি?
জানানেই।
শুধু বারেবারে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে
ও গঙ্গা তুমি বইছো কেনো?

পাঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মারাঠা
দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ
বিন্ধ হিমাচল যমুনা গঙ্গা,
সবই তো আমারই দান,আমারই সৃষ্টি।

হে মানুষ আর কতবার তোমাকে
ক্ষমা করবো বলতে পারো?
উত্তরে আমার বুকের উপর কোথাও দেখি
আমার মেয়ের রক্তাক্ত দেহ,
ঝাড়গ্রামের জঙ্গল থেকে ভেসে আসে
আমার জলন্ত সন্তানের কান্না।

আটাত্তরটা বছর কেটে গেলো
এ কোন ভারতবর্ষ?
যেখানে বিচারের জন্য পথে নামতে হয়?

আর কত গুলো মৃত্যু,
আর কত গুলো শরীর পেলে
ঠিক হবে এই ঘুনধরা পথ?
আর কত গুলো প্রান গেলে
তবে রাষ্ট্র নেবে আবার শপথ?

আটাত্তরটা বছর কেটে গেলো,
তবুও মোদের বুকের ভেতর
তিলে তিলে গড়ে উঠেছে
একটাই ঝড়,
জাস্টিস জাস্টিস
জাস্টিস ফর আর.জি.কর।