আম্বেদকর, তুমি কার?
অস্পৃশ্যের কান্না, শোষিতের ভার?
দরিদ্রের স্বপ্ন, বিদ্রোহী মন,
নাকি শাসকের চোখে অস্বস্তির ক্ষণ?
তুমি কি কেবল ইতিহাসের পৃষ্ঠা,
নিয়মের বাঁধনে বাঁধা এক দৃশ্য?
নাকি মাটির গন্ধে লুকানো বিস্ফোরণ,
যে শব্দে কাঁপে সমাজের ভিত্তিরূপণ?
তুমি কি ক্ষমতার সিংহাসনের ভ্রুকুটি,
নাকি প্রতিরোধে জ্বলা ন্যায়ের মশালটি?
শত শত প্রশ্নে জর্জরিত মন,
তোমার পরিচয় খুঁজে ফেরে জীবন।
তুমি কি নিপীড়িতের অধিকার চাওয়া,
অশ্রু মুছে সাম্যের স্বপ্ন গাওয়া?
নাকি প্রাচীর ভাঙা এক জেদী হাত,
যার ছোঁয়ায় বদলেছে শত সহস্র রাত?
বিদ্রুপ? — ওটা তো দুর্বলতার ভাষা,
যেখানে ভয় পায় পরিবর্তনের আশা।
তাঁর প্রতি উপহাস ইতিহাসকে ঠকায়,
কিন্তু ন্যায়বাণী কি মুছে যায়?
তাই বলি—বিদ্রুপের দেয়াল ভাঙো,
প্রতিবাদের মশাল আবার জ্বালো।
যারা বেঁচে থাকেন সভ্যতার প্রাণে,
ন্যায়ের দাবিতে যেখানেই কণ্ঠ ওঠে কবিতা ও গানে।
আম্বেদকর, তুমি কার?
সমাজের গভীরে জেগে থাকা আর্তি,
নাকি মুক্তির পথে এগোনো এক জাতি?
তোমার উত্তর সময়ের কাছে বাকি—
তুমি চিরজাগ্রত সংগ্রামের প্রতীক।