আমি তোমার জলদস্যু, আমি তোমার রাণী,
আমি হয়েছি তোমার ঘুম হরণকারি,
আমিই হলাম তোমার স্বপ্নচারিনী।
তুমি থাকতেই আমার সব কাব্যচাষ,
তুমিই আমার কবিতার চাষী।
তোমার জন্য দ্রৌপদি হতেও রাজি,
তোমার সভায় জায়গা দিও,
মন হরণ করে বস্ত্রহরণ করিও,
শুধু অনাবৃত দেহে সুখ খুঁজো না,
ঠোঁঠে কাঠঠোকরার মত টুকে দিও সভ্যতা,
নিলাম করে দিও তোমার অধিকারের চিন্তাধারা,
তপস্যায় লীণ করে দাও আমায়,
গভীর গাঢ় অলঙ্ঘনীয় নিয়মে বয়ে যাক
চৈত্রের মাটিতে খোরস্রোতা,
তোমার আগমন আগুনের মতো,
জ্বালিয়ে দিয়ে যাক,পুড়ে ছাই হয়ে যাই,
তারপর মূর্তি গড়ো,
আর্তিমিসের মত নাহয় প্রলয়কারী দেবীর মত,
অত:পর আমার প্রেমের পূজো করো,
শুধু বলি দিও না,আমি যেখানে বলিহারি,
কেন নেব বলি?!
ঐ প্রতিভূরা কি স্যানিটারি প্যাডের মতো কম রক্ত চুষছে?
কম বলি নিচ্ছে?
এগুলোর গল্প তোমার না শুনলেও চলবে,
বুঝবে না,
জোছনার দিনে,প্রদীপ জ্বালিয়ে শুধু ভালবেসো,
দিও না গ্রেনেডের মত ক্ষত,শুধু চুমো দিও,
খোলা রাস্তায় সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে,
হাতে রেখে হাত করো ব্রহ্মায় ভ্রমন,
তোমার দৃষ্টি উদার ঈগলের মত,
যাযাবর জীবনের অবসান করেছে,
যেদিন হতে আমি প্রেমে পড়ি,
হ্যা প্রেমের লীলায় আমার সরলরৈখিক
চলার ছন্দপতন ঘটে,
সেদিন থেকে প্রিয়,ঠিক সেবার হতে আমি
বুঝি প্রেম ছাড়া মহৎ আর কিছু নেই,
প্রেম থেকে বড় ঔষধ আর নেই,
ভালবাসাহীন মরুত জীবনে তোমার প্রেম
জলবৎ সাক্ষি,তমসাময় এসিড পোড়া মনে এ ছিল স্বান্তনার অবগাহন,
চলো ডুবসাগরে মাততে থাকি,
একি বিরহ নাকি প্রেম?নাকি প্রেমের বিরহ?! নাকি প্রেমের তাপে পুষ্টিমান বৃক্ষ,
তবুও অমনি করে হঠাৎ বর্ষনে ভিজিয়ে দিও মন,
যেভাবে চোখের জলে অপমানে ভাসিয়েছিলে,
জীবনের মানে বুঝিয়ে কালো থাবা হতে বাঁচিয়েছিলে,ঠিক সেভাবে আগলে রাখো,
মাকড়শার জালে জড়িয়ে যাচ্ছি;আমাকে ধরো,
তুমি যেদিন আমায় প্রথম চুম্বন করেছিলে,
সেদিন হতে দীর্ঘ পথে ক্লান্ত শিসে;এ প্রেম সত্য ধরালোকের সবাই জেনে গেল।

১১.০৩.১৮