শোন,তুমি কি গ্রীষ্ম ভালবাসো?
তাহলে আমার খনিজ পোড়া দগ্ধ মনের
রুদ্ররূপ ভালবেসো,
অগ্নিশর্মা হয়ে অত্যুক্তি করা তোলপাড়ের অপভ্রংশ ভালবেসো,
তুমি কি শীত ভালবাসো?
তবে আমার সমস্ত রাগ অভিমানের ঝরে পড়া রূক্ষতা ভালবেসো,
তরুন,তুমি চৈত্র ভালবাসো?ভাল কি বাসো
ফাগুন?
তাহলে আমার কড়া দুপুরে স্নাত উদ্দাম তেজ বিরক্তি সহ্য করো,
বলো,তরুন তুমি কি পৌষ ভালবাসো?
তাহলে,এই সোনালি বদন,কামনায় ভরা অতৃপ্ত লেলিহান চিত্ত,চাঁদমুখকে জোছনায় ভরে তোল,
শূণ্য হতে অতলে,দিবাযামিনী ভালবেসো,
তুমি কি হেমন্ত ভালবাসো?
তবে,আমার প্রিয় সুর,প্রিয় কবিতা,প্রিয় অভ্যাস,
অর্থাৎ আমাকেই ভালবেসো,
তুমি কি বসন্ত ভালবাসো?
তারমানে,তুমি আমার সদালাপ,চিরসত্য মন,বিভক্ত দ্যোতনা, সুচারু অধ্যবসায়,
এসবই ভালবাসো,
তরুন,তুমি কি বর্ষা ভালবাসো?
তাহলে,শুধু এইখানে-এই মরুতে,কাঞ্চনজঙ্ঘা,
গিরিখাত,শৈবলিনী, স্রোতস্বতী, খরস্রোতা,
মোহিনী সবুজ জ্ঞানের দিঘনিকায়া,
এই চঞ্চল শোভিত আশ্চর্য রকমের অন্তর্মুখী
পাতাবাহার লজ্জাবতী অথচ
সুকঠিনভাবে দৃঢ এই চিত্তে,
এই আমাতে পতিত হও।
তরুন,আমায় তুমি ষড়ঋতুর মত শতগুন
বেশি ভালবেসো।
১৩.২.১৮