আমি গদ্য লিখি না নিরাকার ছন্দে,
অন্ধ বুঁননে মাতাতে পারি না ত্রিলোক
এবং মাতোয়ারা পাড়ায় কেবলি গুঞ্জন,
এসে গেছে,এসে গেছে,লেখক সাহেব,
উপন্যাশ নিয়ে এসে গেছে,
এক আস্তিক,এক নাস্তিক,
এক পরহেযগার,এক হিন্দুর দুর্নিবার
প্রেমের গল্প লিখে পাতার পর পাতা
আমি হালাল কিতাব ছাপাতে পারি না,
কারন আমি কবি,অস্তিত্বে হাঁড়গোড়ে কবিতা
বয়ে যায় কত শত অনাহারী সবিতা,
তবু ভাবতে থাকি এ কেমন গড়পড়তা?
লোকে বলে আমি কিংবদন্তি
দ্রোহের গান লিখে চলি,
আমি বলি,বিশ্বপ্রেমিক বারবারই প্রেম খুঁজি।
তবুও পাই,তবুও হারাই,
এই আছে,এই নাই,
সব ভাসিয়ে দেই উজানে,ঋদ্ধতার কোলে
মানুষ হই,
আমি মরীচিকা চোখে মেখে মরুভূমিতে হেঁটে
যাই,
পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত সাগরতল ঢুঁড়ে বেড়াই,
কিন্তু মুক্তোর আদলে শামুক থেকে মধু পান করে
সেদিন বুঝতে পারি ক্ষুদা কি,
তারপর থেকে আমি ক্ষুধার্ত হয়ে ভিখিরিদের গান লিখি,
যাযাবর জীবনে ভরসা খুঁজি,
সূর্য যেমন চন্দ্রকে খুঁজে আর তাপের ভার সইতে
না পেরে,সব ঢেলে দেয় তার'পরে,
আমিও খুঁজেছি অস্তিত্ব অনাসক্তির চেতনা বলে,
বৃহৎ বঙ্গদেশে লুটায়ে পড়ি,শিখিয়েছে অন্ন দুটির দাম এবং ঐ অন্ধকার,ঐ রাক্ষুসী চোপড় না আসলেও বুঝতাম না জীবনের মানে কি,
বিভীষিকা তোমাকে স্বাগতম,
দৃশ্যগত অন্ধ বানিয়েছ,দিয়ে গেছ ত্রিনয়ন।
যার জন্যই,আমি কবিতা লিখি,
ছন্দহীন কবিতা লিখি,গদ্য লিখি না,
কারন এ দ্বিমুখী ভাষা সবার জন্য অবশ্যই না।
এ সত্তার ভার সবাই নিতে পারে না,
আকীর্ণ দ্রোহের ভাষায় সবাই প্রেম খুঁজে না।
অত:পর একদল বলে,তারা বুঝে,
তারা জানে,তারা লিখে,তারা কবি
এবং বাণীতে,
প্রেমের অপর নাম নাকি কবিতা,
আমি বলি আলোর মত কিংবা সমান্তরাল
পৃথিবীর মত,
অন্যসুর,অন্য সংখ্যায়,অন্য ধারায়,
প্রবেশ করো,তুমি আমার ভিতর,
আস্তে আস্তে তারপর আষ্টেপৃষ্ঠে,
গভীরভাবে,সচেতনভাবে, অনঢভাবে,
মৃত্যুনদী ছাড়া যেদিন জীবন দেখতে পাবে,
সেদিন বলব তুমি পেরে গেছ,
তুমি কবিতা বুঝ,
এ সাম্রাজ্য তোমার,
ভয়ংকর তোলপাড়ের দিবানিশি,
কচকচে অনুভূতির কিছু অমর স্মৃতি,
ওয়েলপেস্টের অভাবে এইচবি পেন্সিলে
আঁকা সস্তা স্কেচের দেয়ালিকা,
মাখনের অভাবে তৈলের বাটারবন,
শুকনো রুটি,এক বাটি ডাল,
স্নেহহীনতার বিপরীতে
সজোর ইচ্ছার কাফনে জড়ানো
অদম্য মনোবল,
এসবই তোমার।
তোমাকে দিয়ে গেলাম ক্ষতের কবিতা সব,
আমি বুঁদ রইলাম অন্য নেশায়,কখনো যদি
কবির পরিচয় জানতে ইচ্ছা হয়,
খুঁজে নিও কোথাও সাম্রাজ্যের
পতনে;আরাকান কিংবা আর্যদেশে।