তুমি যেন একটা আর্টিক বরফ,
তোমার রুপান্তর দেখে আমি খুশি,
তোমাকে কখনো কঠিন,কখনো তরল,কখনওবা বায়বীয় বানাতে যেন আমি রোদ্দুর ঢেলে দিতে চাই স্নিগ্ধ বিকালেও তোমার পাড়ের বাতাস হয়ে মুহুর্মুহু স্পন্দন জাগাতে চাই,
হয়ত, কৃপনতা করে ফেলছি,
ওম দিয়ে রেশমের উপযোগীতা বাড়াচ্ছি,
হয়ত তুমি ভাবছ এ কেমন বন্ধুত্ব?
আন্দামানের যাত্রায় গাছ গুনা,
তবুও বলব তুমি শান্ত বরফ,
তোমার তিনরুপেই আমি খুশি,
তোমাকে আবিষ্কারে কলম্বাস হতে
পেরে আমি অভিযানে নামব,
তোমার আমার নামে দ্বীপ গড়ব।
হয়ত সেদিন তুমি দ্বীপের মালিকানা চাইবে,
হয়ত তোমাকে তা আমি দিতে পারব না,
সেদিন তুমি ভাববে প্রয়োজন নেই এ দ্যোতনা,
হারিয়ে যাবে খুব ছোটবেলায় দেখা ধুমকেতুটির মত,কিংবা খুব প্রিয় জিনিসটির মত,
আমার যেই শখটি পুরণ হয় নি,
অর্থ-সময়,সাধ্য,কৌশলের অভাবে,
তোমাকে হারানো মানে হবে সেই আরাধ্য
শখটির মত যার সাধন কখনো করতে পারি নি,
করি নি লালন,তুমি সেদিন প্রশ্ন করার সব অধিকার হারাবে,
উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন আমি মনে করব না,
দাম্ভিকতায় কলম ছুঁড়ে মারব,বলপয়েন্টের গ্লাইকোল সব তোমার শার্টে ছিটকে পড়বে,
তুলতে পারবে কি সে দাগ ঘষে ঘষে?
হয়ত পারবে,হয়তবা পারবে না,
মলিন পড়ে থাকবে শার্টটি,
যেমনটা সতেজ তোমার মন আমার দাপটেভরা
চোখের ঝলসানিতে ক্লেদাক্ত হয়ে গিয়েছিল,
যেমনটা ক্ষমতার প্রভাবে,জন্মের উত্তরাধিকারে
মেধার বিপননে দৃশ্যগত এলিট আদতে একটুকরো বর্জ্য,
তোমাকে স্প্রিং এর মতো ঘুরিয়েছিলাম,
সে ক্ষত আজো তাজা,
তপ্ত রোদে,উঠোনের গরমে হয়েছ,হবে
প্রান্তিক তুমি আরো ভাজা ভাজা,
তেল চেয়েছি,তেল দাও নি,বুঝি তোমার আভিজাত্য আছে,চেহারায় সুফিয়ানা ভাব আছে,গায়ের রঙ সুন্দর আছে,ভাষাশৈলি ভাল আছে,মধ্যম আয় আছে,
তাতে কি?নামে দামে আমি মনীষী, চেয়ার বাঁচাতে হবে,তোমার উদাত্ত আহবানে করুন জিন্দেগানিতে আমার ববকাটা চুলে ইলেক্ট্রিক গতিতে নিউরাল অভিব্যক্তি ঘটবে না,
তোমার সময়ের প্রয়োজনে আমার সময়কে প্রশ্নাত্মক করব না,
বুঝ না কেন,সময় তোমার আসে নি,আসবেও না,
শুধু শুধু অধিকারের কথা বলে,বড় বড় স্বপ্ন দেখে,একবুক আশা নিয়ে, আখের গোছাতে থাক,চেয়ার তোমার বাপের ছিল না তাই
তোমারও হবে না,
দুই শ্রেণী এ সমাজে বিদ্যমান,
শোষক অথবা শোষিত,
তুমি কোনটা হবে,বেছে নাও,
নাহয় মধ্যবিত্ত হও,তাই নিরাপদ,
তুমি প্রেম খুঁজো না অনশনের দিনে,
তুমি ভালবাসা পাবে না এ অর্থদ্বন্দ,শ্রেনীসংগ্রামে, হ্যাজিমনি এখন সবার নয়নের মনি,ফিলোসোফি
আমরা কিনে এর কন্যাকে উলঙ্গ করে কবেকার বেচে খেয়েছি, এখন উদোরপুর্তির নেশায় চাবুক মেরে বিড়িএসএমের স্বাদ মেটাচ্ছি,
তুমি তারচেয়ে বরং হয়ে যাও নপুংসক,
দূর থেকে দেখবে ছুঁতে পারবে না,
তুমি বরং বন্ধ্যা হয়ে যাও,
শুক্রানু তোমাতে প্রবেশ করবে না,
তুমি বরং জন্ম দাও হাজার হাজার প্রোলিটারিয়েট,
ধুকে ধুকে মরুক,
তুমি নাহয় হও ক্যারিশমা,
গর্দান থাকবে কিনা সন্দেহ,
তুমি হয়ে যাও এ শতাব্দীর যিশু,
তুমি হও গ্যালিলিও,গাজ্জালি,
তুমি নাহয় হও রাজবিমুখ বেকন,
নাহয় দাম্ভিক গালিব,
আমাকে শুদ্ধ করো,পারলে আমাকে শুধরাও,
কিছুই করতে পারবে না তুমি,
কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে তোমার শ্রেণি,
মনোভাব,স্বপ্ন,পেশা,আশা,ভালবাসা,
এ সভ্যতার সবচেয়ে নষ্ট কীট পোকা তুমি,
নষ্ট পৃথিবীর শ্রেষ্ট প্রেমিক জন্ম নাও এবার,
ভন্ড প্রেমিক সেজে অভিসারে মেত না চুপিসারে
আর কামনায় মত্ত উদ্দাম উষ্ণতায় ভরে না দেহ প্রাণ মন,করো না অভিসম্পাত, হবে না বীর্যস্খলন,খুলবে না এ দেহ দুয়ার।