এ কাহিনী হঠাৎই সৃষ্টি, এ জন্মে বিশেষ পূর্বপরিকল্পনা করিনি। সহসাই প্রবাহিত হয়েছে মৃত্যু নদী, হরিদোয়ারে গঙ্গায় শিকল ছিড়ে গেছে। ভাসিয়েছে ভবসংসার, এ জন্মে সগর পুত্রেরা পুনরুজ্জীবিত হয়না। কীই বা আছে গল্পকথায়, গঙ্গাসাগর মেলায় ছোট দোকানের পসরা। তার মধ্যেও সে শ্মশানে সেদিন ভেসেছিল গেরুয়া কুয়াশা। দু-হাত দূরে দেখতে না পেলে, ক্যামেরায় ছবি ওঠে না। সঙ্গত মৃত্যুপুরীতে সুরক্ষার সতর্ক আয়োজন। যদিও আই ক্যাম্পে আসা সাধুর প্রাণভয় আছে নাকি, কেঊ জানতে চায় না।
শবাধার মণি, সহস্রকর্ণিকায় বিচ্ছুরণ, আমি অপলক
আসোনি অ-সুরে, বা হয়ত কনিষ্ঠায় সৃষ্টি করেছ আতর ।
সু-মেঘ ঘনায়, দ্বিপ্রহরে সংবরণ বৃক্ষ সভূমে শায়িত
আপন সাক্ষী তুমি, আমি পাতালন্ত অ-জাগর
পুরাতন অর্ধনারীশ্বর, শিরা বহমানায় জয়ন্ত মৃত্তিকায়
পঞ্চসায়র পেরিয়ে রাতভক্ষ্য দীঘি, আর নাগকেশর মর্মর ।
গাঢ় আঁধার এক, তাও কী বাস্তব, সে অবাস্তব মোহমুল
মাটি গ্রাস কুহক আমি, তীর্থভূমি পরিব্রাজক ।