ওহে বাঙালী, জেগে ওঠো-প্রথম প্রহরে,
কতদিন রবে আর অতল গহ্বরে?
তোমরাতো জানো পার কতশত-
পাকিস্থানিরা তাই করেছে মাথা নত।
মনে করে দেখ একদিন এই দেশে
পাকিস্থানিরা হানাদার নিয়ে দিয়েছিল
হানা শেষে।।
সেদিন তোমরাতো হওনি পিছপা-
বলেছ...করব মুক্তিযুদ্ধ কপালে থাকে যা।
ন্যায়ের জন্য করেছ যুদ্ধ
দিয়েছ রক্ত জান ,
কোথায় তোমাদের সেই ন্যায় অন্যায়
কোথায় তোমাদের মান?
তোমরা আবার তাদের দাও ভোট,
যারা সদা করে অকর্ম জোট-
তোমরা তো নয় হীন কাপুরুষ,
তোমরা তো নয় কম বলবান-
কষ্ট করে আবার তোমরা
ফিরিয়ে আন তোমাদের এ মান।
যদি তোমরা কর সংগ্রাম,
আগে বুঝে নাও নীতি-
কিভাবে শুরু করবে সংগ্রাম
কিভাবে টানবে ইতি।।
কাজী নজরুল ছিল একদিন
এদেশের বীর কবি
যার লেখনিতে ফুটে উঠেছে
হাজার বীভৎস ছবি।।
আবার তিনি বিদ্রোহ নিয়ে
লিখেছেন কত কাব্য,
যার কারনে বাঙালী আজ
হয়েছে অনেক সভ্য।।
সারাদেশে ঘোরো, ঘুরে ঘুরে দেখ
গরিবের কি দশা-
ধুকে ধুকে আজ না খেয়ে মরে
নিয়ে এক বুক আসা।
তোমরা কি চাও? তোমাদের ধন
নিয়ে যাক ধনি এসে?
যারা নিয়ে যায় সকল কিছু
তোমরা ক্ষুধায় মরো অবশেষে??
তাইতো বলি জেগে ওঠো সবে,
ক্ষুদে পথ আর বড় রাজপথে-
যেপথে গেলে হবে সাক্ষাৎ,
সংগ্রামীদের সাথে।।
তোমরা তো জানো সংগ্রাম ছাড়া
টিকেনি কন জাতি,
তাইতো এখন সবে করে নাও
অভিযাত্রিকদের সাথী।।
তোমরা কৃষক, তোমরা শ্রমিক,
তোমরাই দেশের নেতা,
জনগন ছাড়া টেকেনি কনদিন
যত বড় সে হোক নেতা-
সদা মনে তাই রাখবে সবে
তুমিই নিজেই বড়,
তাই যদি সবে কর মনে তবে
সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়।
সবার মুখেই একটি কথা
থাকবে একটি সুর-
স্বৈরশাসন, অন্যায় শাসন
করে দেবো সব দূর।।
মুখে যদি বল ভাই আর
হাতে যদি কর কাজ
চাই আমরা ন্যায্য বিচার
বল সবাকার মাঝ।।
নির্দোষীদের নিরাপরাধে
যারা পুরে দেয় জেলে,
হাত-পা তাদের গুড়ো করে আজ
রাস্তায় দেবো ফেলে।।
এসব কথা সর্বদায়ই রাখতে হবে মনে,
তবে- একসময় থাকবে সবে তোমার অন্বেষণে।
এছাড়া আর ন্যায্য বিচার পাওয়ার আসা নাই,
তাই তোমাদের আবার বলি জেগে ওঠো সবে ভাই।।
(সংক্ষেপিত)