আমি হেঁটে চলেছি এক সুসভ্য রবোনগরিতে। যেখানে অসঙ্খ রোবট কথায় কথায় মাথা নত করে, যা বলা হয় তাই করে কোন এক অপারেটরের কথায়।
তোমাদের কাছে যদি প্রশ্ন করা হয় তোমরা কি জানো কথায় সে নগরী? সবাই হয়ত ভাববে এটা কোথায় ? তোমরা কিছুক্ষণ ভাব ততক্ষণে চল একটু ঘুরে আসি রবনগরি থেকে-
     সে অনেক কাল আগের কথা বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা এক ছিল, ছিল না আমেরিকার উপস্থিতি, তখন পৃথিবীতে বসবাস করত উল্লুক। তারা পৃথিবীতে সব যায়গায় বিচরন করত, তাদের বেচে থাকার তাগিদে তারা গাছ-পালা, ফল-মুল খেতে সুরু করল, কিন্তু একি, তারা যতই গাছপালা ভক্ষণ করুক না কেন পৃথিবীতে গাছের সংখা বেড়ে যেতে লাগল। আর পৃথিবীটা হয়ে এলো জঙ্গল। এখন প্রশ্ন তাহলে মানুষ?-
       মানুষের সংখ্যা দিন দিন কমে যেতে লাগল। তাহলে উল্লুকরা কি খেত? আসলে উল্লুকরা গাছপালা খেত না, খেত মানুষ।
আজ দীর্ঘ পরিক্রমায় সে উল্লুক শেষ হয়ে গেছে এখন উৎপাত শুরু হয়েছে ভাল্লুকের। এরা মৃত্যু মানুষ খায় না খায় জীবন্ত মানুষ।
এতক্ষন হয়ত সবাই বুঝে গেছ আসলে আমি কোন স্থানের কথা বলছি! হ্যাঁ আজ এ দেশে যত রাষ্ট্রনায়ক আর নায়িকা আছে তারা হচ্ছে এনগরীর অপারেটর। আর আমরা হচ্ছি রোবট। ধনী, মাতাজন তারা আমাদের যা আদেশ করেন আমরা তা কম্পিউটারের কম্যান্ডমনে করে পালন করি।
আমাদের অবস্থাটা এমন হয়েছে যে মনে হয় আমরা কোন বৈশাখী মেলার নাচের পুতুল। আমরা যেন কিছু বলতে না পারি সে জন্য আমাদের মুখ বন্ধ করে রেখেছে অর্থ নামের সঙ্কট দ্বারা। আমরা যেন চলতে না পারি সে জন্য আমাদের আটকে রেখেছে জ্ঞান নামক বস্তু দ্বারা।
তাহলে এটা কোন সমাজ? এতা একটা অসুস্থ সমাজ। এ সমাজের রোগ ভাইরাস সংক্রমিত। বাংলায়

একটি প্রবাদ আছে-
         “ যেই লঙ্কায় যায়, সেই রাবন হয়”
আজ এ সমাজ, এ দেশ, এই রোগে আক্রান্ত। তা কেমন চল ঘুরে আসি এ দেশ---
মানুষের মৌলিক চাহিদা পাঁচটি যথাঃ

১)অন্ন
২)বস্র
৩)বাসস্থান
৪)শিক্ষা
৫)চিকিৎসা।

প্রথমেই অন্ন। দেখা যাক না সেখানে কি ঘটছে, একদল হিংস্র বাঘ এসে মুখের সামনে থেকে খাবার কেড়ে নিচ্ছে উইপকার। শিয়াল হয়তবা কিছুতা খাবার পাচ্ছে তার চাতুরিতার জন্য কিন্তু ঘাসফড়িঙ? ঘাসই নাই আর তো ঘাসফড়িঙ !
       যারা দেশ চালায় তারা সবার মাথার উপর কাঁঠাল রেখে নিজেরা সুইস ব্যাঙ্কে টাকার পাহাড় বানাচ্ছে অথচ আমরা বৃদ্ধরা তা দেখি কিন্তু কিছু করতে পারছি না।
       আর বস্র? কি আর বলব-“ শুনেছি মধুসূদন নাকি বিলাসিতায় জিবন-যাপন করত”, কিন্তু সে হয়ত আমাদের দেশের নেতাদের মত এত বিলাসিতায় চলত না।
       যাহোক বেশি কথা বলতে গেলে আমাকে আবার হয়ত কারাগারে নাহলে হয়ত মানসিক হাসপাতালে থাকতে হবে। এটাই এ দেশের নিয়ম।
       তাইতো সেদিন বিকালে ভাবলাম কি আর করা কিছুত আর বলতে পারতেছি না তার থেকে যাই একবার বাঙলার আকাশটা দেখি। কিন্তু একি? সেখানে যে শুধুই কাল মেঘের ঘনঘটা। এ দেশে কি আগের মত কোন পরিবেশবাদী তৈরি হবে? যার কথায় ঝরবে আগুনের ফুলকি, আর সাহসে জয় করবে মেঘমুক্ত আকাশ।।
                                                                                                           (সংক্ষেপিত)