নিঃসঙ্গ জীবনে একদিন হঠাৎ করে ভাবি
আশেপাশে কিছু পাখি থাকলে দারুণ হবে;
পাখিরা মাটি আর ঘাসের বুকে হাঁটবে,
ডানা ঝাপটিয়ে ওড়বে এ গাছে ও গাছে,
কিচিরমিচির শব্দ করে ডাকবে,
আর আমি নিঃসঙ্গ জীবনে কিছু সঙ্গী পাবো।
কিন্তু হায় কোনো পাখিই আসছিল না!
আমার থলের মধ্যে কিছু ভাতের চাল ছিল
সেগুলো ছড়িয়ে দিলাম,
কিছুক্ষণের মধ্যেই অনেকগুলো পাখি আসল,
ওদের ওড়াউড়ি হইহুল্লোড় দেখে আমি ভীষণ আনন্দ পেলাম।
অতঃপর পরম শান্তিতে ঘুমিয়ে পড়লাম।
ঘুম থেকে উঠে দেখি, একটি পাখিও নেই,
পাখিরা সব খাবার খেয়ে নিয়ে আপন আপন বাসায় চলে গিয়েছে।
পরের দিন ভাবলাম, আবার কিছু খাবার দেই,
পাখিগুলো আসবে, খেলবে,
অনেক মজা হবে,
গতকালকের দিনটি খুব ভালো ছিল।
কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আমার একমাত্র থলেটির মধ্যে কোনো শস্যদানা পেলাম না।
আবার মনটা খারাপ হয়ে গেল,
পরে একটি দারুণ আইডিয়া মাথায় এলো
আমি কিছু পোকামাকড় সংগ্রহ করে আনলাম,
সেগুলো ছড়িয়ে দিলাম আমার উঠানের উপরে,
আবার অনেকগুলো পাখি আসলো
ওদের উল্লাস চোখভরে দেখছিলাম।
পোকামাকড় শেষ হলে
পাখিগুলো নিজ নিজ গন্তব্যে চলে।
পরদিন আমি কিছুটা অসুস্থ হয়ে যাই
ক্ষুধায় আমার শরীর শক্তিহীন হয়ে পড়ে,
আমি ঘরের জানালার পাশে আমার বিছানায় শুয়ে পড়ি।
কিন্তু কিছুতেই ঘুম আসছিল না।
তাই জানালটা খুলে দিলাম,
ভাবলাম পাখিদের ওড়াউড়ি আর আনন্দ দেখবো।
আজকে খাবার ছিটাতে পারিনি,
পাখিদের কোলাহলও নেই।
দুইটি পাখি অবশ্য এসেছিল গত দুইদিন
যে জায়গায় খাবার ছিটিয়েছিলাম সেই জায়গায়টায়।
পরে খাবার না পেয়ে ওরা ফিরে যায়।
ক্লান্তিতে আমার চোখ বন্ধ হয়ে এলো।
আমি ঘুমিয়ে পড়ি।
এরপর অভাবের কারণে
পাখিদের আর খাবার দিতে পারিনি।
আর কোনো পাখিও এদিকে আসেনি।