বার বার মা মা করে
চিৎকার দিয়ে কাঁদিসনা রে খোকা!
হৃদয়টা ভেঙে খানখান হয়ে যায়।
দুদিন আগেই তো
মায়ের গালে মুখে কপালে চুমু খেয়েছিস,
মনে পড়ছে না!
ঐ যে একটা খাটিয়ায় সাদা কাপড়ে
মোড়ানো ছিল তোর মা!
চারিদিকে মানুষের ভিড় ছিল,
সেই ভিড় ঠেলে মায়ের কাছে গেলি,
মায়ের মুখ দেখার সাথে সাথে
আম্মু, আম্মু বলে ঝাঁপিয়ে পড়ে
কতগুলো চুমু খেয়েছিস,
কিন্তু তোর মা কথা বলতে পারে নি,
প্রতিদিনের মতো জড়িয়ে ধরতে পারে নি তোকে।
তিন দিন ধরে মায়ের দেখা নেই।
কত কেঁদেছিস তুই,
তোর মা হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিল।
তোর ছোট বোন, খেলার সাথী আসছে পৃথিবীতে,
তাকে আলোর মুখ দেখাবে বলে তোর মা অসুস্থ হয়েছিল।
তোর বোন পৃথিবীর আলো দেখতে পারেনি,
সে আল্লাহ্'র কাছে চলে গেছে।
জানিস,
তোর বোন ওখানে খুব কান্না করছিল,
বলছিলো 'আম্মু যাবো, আম্মু যাবো।'
তোদের মা সহ্য করতে পারে নি,
তাই তো সেখানে চলে গেছে।
তুই বড় হয়ে গেছিস না!
এখন তোর বয়স বরাবর দুই বছর।
আর তোর বোন তো অনেক ছোট,
বল, সে কি একা একা থাকতে পারবে?
কাঁদিস না খোকা।
আচ্ছা, তোর আম্মুর সাথে কথা বলবি?
চল....
ঐ যে নতুন কবরটা দেখছিস,
চার কোণায় চারটা খেজুরের ডাল পুঁতা আছে,
ওটা তোর মায়ের কবর।
এই তো আমরা চলে এসেছি।
এখনেই তোর মা শুয়ে আছে খোকা,
বল, কথা বল।
ডাক দে আম্মু বলে।
তোর মা সব শুনবে
কিন্তু কথা বলবে না।
'আম্মু.......'
আহা! কাঁদছিস কেন?
হ্যাঁ, বল, তোর আম্মুর সাথে কথা বল-
'আম্মু তুমি কোথায়?
আম্মু........'