মা আর চার ভাইবোনের সংসার
বাবা মারা গেছেন বহুদিন আগে।
অভাবের কেমন নিদারুণ অট্টহাসি
বারমাস যেন লেগেই থাকে এখানে।
প্রতিদিন অভিন্ন নিরামিষ তরকারি,
হেলেঞ্চা বথুয়া কচুশাকে খুব বিতৃষ্ণা,
আলুভাজি পছন্দের খাবারটিও
কেমন যেন অপ্রিয় হয়ে ওঠে।
বেশ ঘনঘন যে আমিষটি খাওয়া হতো
তা হলো একমুঠো মসুরে সের দেড়েক
পানি দিয়ে রান্না করা পাতলা ডাল।
তবে মা আমাদেরকে নিয়ে খুব চিন্তা করতেন।
আমাদের শুকনো মুখগুলো তাকে
খুব করে ভোগাতো যন্ত্রণা দিতো।
মা আমাদেরকে খুব করে আগলে রাখতেন।
ভালোমন্দ খাওয়ানোর চেষ্টা করতেন।
হাতে কয়েকটি টাকা হলেই মা ডিম কিনতেন।
নিরামিষের মাঝখানে মা নিয়ম করে
একটি ডিম ভাজতেন দুপুরের খাবারে।
ডিমের গন্ধ পেয়ে আমাদের চোখগুলো
আনন্দে চকচক করে উঠত।
একটি ডিম আমরা চার ভাইবোন
ভাগ করে খেতাম খুব মজা করে।
এখন অবশ্য অভাবের অট্টহাসি নেই,
ভাত মাছ মাংস দুধ ডিম এখানে
সাধারণ খাবার। কিন্তু সেই এক-চতুর্থাংশ
ডিমভাজির স্বাদ এখন আর নেই।