আগামীর দিনগুলোর কথা ভাবতেই শিউরে উঠি,
খুব কঠিন সময় আসছে অদূর ভবিষ্যতে,
সময়ের বিভৎস রূপ দেখতে হবে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষকে।
ধন সম্পদের প্রাচুর্য থাকবে
পেশাগত জীবন হবে খুব উন্নত
স্শৃষ্য আসবাবে থাকবে আভিজাত্যের ছোঁয়া
কিন্তু তিল পরিমাণও শান্তি থাকবে না হৃদয়ের মাঝে,
সে সময় একাকীত্ব হবে মানবতার সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ।
ভেঙে যাবে শান্তির পারিবারিক বন্ধন,
পরিবার, মাতা-পিতা, স্বামী-স্ত্রী, সন্তান কিংবা আত্মীয়তা হবে
পুতুল খেলার মতো ঠুনকো ব্যাপার।
ভালোবাসা হবে টাকা দিয়ে কেনা বস্তু,
ব্যবসায়িক সংবিদা থাকবে সমস্ত সম্পর্কের উর্ধ্বে,
বন্য জীবন যাপনে উন্মত্ত হয়ে উঠবে কোটি কোটি আদম সন্তান।
বিশ্বাস অবিশ্বাসের সংঘর্ষে অবিশ্বাসকেই বেছে নিবে মানুষ,
যুক্তির পিছনে ছুটতে ছুটতে সব কিছুই মনে হবে অযৌক্তিক,
ব্যক্তিক স্বার্থ হবে জীবনের অভীষ্ট লক্ষ্য,
সুখের সন্ধানে মরিয়া হয়ে উঠবে মানব জাতি
কিন্তু শান্তি থাকবে একেবারে নাগালের বাইরে।
নৈরাশ্যের মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বেঁচে থাকার ইচ্ছেদের,
মানুষ ছটফট করতে থাকবে
জীবনের গোলক ধাঁধার সমাধান পাবে না মোটেও,
সে সময় আত্মহত্যা হবে অমৃতের মতো কাঙ্ক্ষিত বস্তু।
জাগতিক জ্ঞান বিজ্ঞান হতবাক হবে মানবতার সেই ক্রান্তিকালে,
শান্তি আবিষ্কারের পথ খুঁজে পাবে না পৃথিবীর মহামান্য বিজ্ঞানীগণ।
সেই দিন বিশ্বাস হবে মুক্তির একমাত্র উপায়,
মহাপরাক্রান্ত সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাসই হবে সেই নিদারুণ যন্ত্রণা লাঘবের একমাত্র কারণ।
বিশ্বাস আবশ্যিকভাবে মানব হৃদয়ের শান্তি ফিরিয়ে দিবে সেই দিন
কিন্তু সে কথা বুঝে আসবে না পৃথিবীর অগণিত মানুষের।