সমুদ্রকে ভালোবেসে একবার তিমি হয়েছিলাম ;
সঙ্গিনীর মৃত্যুতে শোকাহত হওয়ার প্রমাণে আত্বহত্যা করতে না পারায় সমুদ্র আমাকে ছুরে ফেলে দিয়েছে তীরে।
সে আমাকে আর গ্রহণ করবে না।
তার নোনা জলের জোয়ারে নর্তকী তিমিদের বার্তা ,আমার প্রতি তাদের কামনা, অপেক্ষা  এসব কিছুই পা ছুয়ে যাবে না।
অহ পাপি!
পাপ আমাকে বিলীন করে দিচ্ছে,যেভাবে বিলীন হতে থাকে ফ্রেব্রুয়ারির কুয়াশা ;
আমার চেহারা!
অহ আমার এই মাধুর্যতা! কামের ঝড় বয়ে যায় নারীর পুরো দেহে। আমার এই বিষাক্ত দেহে ডুবে যেতে চায় তারা। উন্মাদ হয়ে প্রলাপ বকতে থাকে। গিলে ফেলার সাধনা! যেন আমার ঠোঁট ন্রলেই মিথুন হবে তাঁদের।
তৃপ্তি! নষ্ট হওয়ার তৃপ্তি।
এই মাধুর্যতা দেখে আমাকে সমুদ্রের মতো গ্রহণ করেছিলো আরো অনেকেই। তারপর তাঁদের তৈরী নিয়মের শেখলে আমাকে বন্ধী করে। নিয়মের আগে প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসালেই আমাকে ছুরে ফেলে নর্দমায়।
অহ পাপি!
আমি পাপি। পাপের আঁধারে এতটা জর্জরিত হয়েছি যে দেখতে পাইনা নিয়মের আগে প্রশ্নবোধক চিহ্ন মানায় না।যেভাবে মানায় না সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ এক নাগরিকের অভিযোগ।
অহ মায়ের হাসি!
বিষাক্ত দুঃস্বপ্নে যখন আমার হাত-পা শেখল দিয়ে বেঁধে ফেলে দেয়া হয় বুধ বুধ করতে থাকা রক্তিম লাভায়। যখন মাধুর্যতা উবে গিয়ে বিভৎস হয়ে আসে আমার মুখ! গলে যেতে থাকি ধীরে ধীরে, মায়ের হাসিতে বেঁচে উঠি আরো দু-চার মিনিট।
অহ পাপি!
আমি সেই পাপি! যার বিষে বিষাক্ত হয়েছিলো পবিত্র মায়ের ভ্রূণ। মা আমাকে হত্যা করেনি। ভালোবেসে তুলে নিয়েছিলো কোলে। অহ আমার পাপ!
গ্রাস করে নিয়েছে আমার মাকে।
অহ ওইসব রাক্ষসে রাত!
নর্দমার সুগন্ধে লেপ্টে আছে আমার পুরো গাঁ। সেই সুগন্ধে মোহিত হয়ে একদল পাপ ঝড়ের বেগে এগিয়ে আসছে আমার দিকে, আলিঙ্গন করে মিশে যাচ্ছে আমার শিরা-উপশিরায়।
অহ পাপি! সমস্ত পাপকে গ্রহণ করে আমি পরিণত হচ্ছি বিশাল দানবে। পাপের সাথে করে আমার আঁকার বাড়ছে মানুষের থেকে অনেক বেশি।
পৃথিবী ও আমাকে আর মেনে নিতে পারছে না। যেন পৃথিবীর বুকে দু-কিলো আন্টিম্যাটার! মুহূর্তেই উরে যাবে সব কিছু, গ্রাস হবে এক লহমায়।
অহ পাপ
আমি সেই পাপি।