শুধুই তোমার জন্য- লক্ষ কোটি বছর ধরে
অনন্ত কষ্টের প্রতিযোগিতায় পারি টিকতে।
বিষণ্ণ শূন্যতায় স্তব্ধ, তবুও রক্ত-কণিকা জুড়ে
এক নাম-ভালোবাসা প্রবাহিত, তুমি অস্তিত্বে।
দুনিয়াময় যতো সুন্দর -সুখ তোমাতে-ই ভাবী-
আমার আনন্দ-বিশ্বাস মসজিদ মন্দির গির্জা।
চাঁদমুখ আর হাসি জেনো জীবনের চেয়ে দামি,
ভুলে যেতে পারি অনন্ত-দহন পৃথ্বী'র, তুমি ছাড়া।
কতো স্বপ্ন! তিল তিল করে সাজান প্রেম, ঘর
বাঁধিবার অপ্রতিরোধ্য সাধ-বিশ্বাস এ'বুকে ছিল!
আভিজাত্যের অহমিকায় মাড়িবে, করবে পর
ভাবিনি! কি আমার অপরাধ, কতটুকু দোষ বল!
বুকের ভিতর নিত্য জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির দহন,
কারণ-অকারণে অতৃপ্ত মন, চোখে লাভা নিঃসৃত।
দেখতে পায়'না কেউ-নেই'তো বুঝবে কষ্ট-বেদন,
সেইদিন থেকে নীরব পুড়ন, অনুভূতিহীন-অর্ধমৃত।
কতভাবে কতদিন করেছি ভালোবাসার মিনতি,
বোঝতে চাওনি হৃদয় চিরে বেরিয়ে আসা সেকথা!
বেঁচেই তো আছি! তুমিহীনা মরুময় মনের ভূমি
নয়ন জুড়ে অবাধ্য শ্রাবণ, অনুভবে দুঃসহ যন্ত্রণা।