আমি নজরুল নই, তাই বিদ্রোহী হতে পারিনা,
নই কবিগুরু রবীন্দ্র- বুঝতে পারিনা সাহিত্য-কী।
জীবনানন্দের মতো প্রকাশ করেতে জানিনা
মুগ্ধতা দেশ-রূপ প্রকৃতি।
দেখাতেও না পারি জসীম উদ্দিনের মতো-
গ্রাম বাংলা, গভীর-দেশপ্রেম আর ভালোবাসা।
সাধারণ, অতি সাধারণ নগণ্য এক যুবক আমি,
লিখতে গিয়েও পারিনা-মনের কথা, ক্ষোভ অসন্তুষ্টি।
স্বার্থপর পৃথিবী'র স্বার্থান্ধ মানুষ কত-রূপি
কেবল দুঃখই দিয়ে গেল, যে যতো পারে মন-ভরি!
দুচোখ যায় যতদূর- দেখি সুন্দর রূপ-প্রকৃতি,
মুগ্ধ নয়ন কৃতজ্ঞ স্রষ্টা'য় অপরূপ-বিশ্ব সৃষ্টি,
মানুষের বোধ বিচারে কত চ্যুতি আর বিচ্যুতি!
নির্মম শোষণে দগ্ধ সদা শোষিত,
ভেঙে যায় মন, বিষণ্ণ প্লাবন
ধরে আগুন রক্তে বারুদ জ্বলন্ত।
তবু আমি দুর্বল শীর্ণ মনে রয়ে যাই চুপ,
বিবেকের ধ্বংসনে নিজেকেই করি ক্ষত।
প্রতিবাদ জানিনা কোনো- বোবা আমি,
ভুলে থাকি সহস্র শোষিতের দুঃখ-বেদনা,
ভুলে চেতনা, জাতি-গৌরব, নিজ-কৃষ্টি!
আমি ধূলির মানুষ, ক্ষুদ্রতে রাখি বিশ্বাস,
ধুলো মেখে গায় মাতিয়া ফিরি, উচ্ছ্বাস
আনন্দে ভরি,পথের মাঝে ছাড়ি নিঃশ্বাস।
অতি ছোট নগণ্য, অগণিত বৃহৎ সমারোহে
আমি কণা-মাত্র, মনুষ্যত্ব পূঁজি-তা বিরহে,
হই সৃষ্টিসুখে ধন্য, বারে বারে মন-তা কহে।
কবিগান বাহে প্রাণ, কবি-মনে সৃজি মনস্তুষ্টি
স্রষ্টা-প্রেমে মহিয়ান বিশ্বাসীবাদ, অমর সৃষ্টি-
ক্ষুদ্রে খুঁজিব জ্ঞান, সদাগতি ধীরভাবে তুষ্টি।