আমি আজ করেছি পণ- দেখবোই প্রভাত-সূর্য,
হাল্কা কোঁয়াশায় ঢাকা নির্মল বাতাসের স্রোতে
নিঃশব্দে আসবে স্বর্ণকুমারী হয়ে স্বর্ণাভ'সকাল,
কতনা সহস্র প্রতীক্ষিত মুহূর্ত পাবে মুক্তি-পূর্ণত্ব।
দূরের বা কাছের মসজিদ থেকে ভেসে আসবে
রাত্রির নীরবতা ভাঙা মুয়াজ্বিনের সুমধুর আহ্বন,
মধুস্বরা সে'ধ্বনিতে ঘুচবেই নিঃসঙ্গতা আমারো;
দূরে কোথাও শুনবো ঘুমভাঙানি পাখিদের গান।
ঝরে যাবে জীবন থেকে আর'একটি নির্ঘুম রাত,
জানিনা কততম-কতকাল এভাবে করেছি ভোর;
প্রিয়জন হারা বেদনার সাক্ষর দিবে প্রহর গুলই।
কজনই'বা বুঝে শূন্যময় রাত্রির কষ্ট-শিশিরজল!
কেবা দেখেছে কবে দুর্বল গরীব,বৈষম্যে দুরদুর
তাড়িয়ে যায় নিত্যকাল-অধিকার কাঁড়ছে কতই;
পায়-না কখনো ন্যায্যতা শ্রমিকের ঝরা শ্রমজল,
ভেদ-বৈষম্যে নাই মুক্তি- আসুক স্বাধীনতা যতই।
নিঃস্ব রাতের কান্না'য় সিক্ত-সজীব ঘাসবন-বৃক্ষ
সূর্যর প্রথম রশ্মি-বাউয়ে ঝকঝকে- মাতে নৃত্যে,
জাতিনাশ-বৈষম্য শোষণেই কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা-
সম্ভ্রম লাশ রক্তের সাথে কতনা সহস্র প্রতীক্ষিত!
হিংস্র শকুন'রা আজও রক্ত খেয়ে মাতে উল্লাসে,
শহীদী-পবিত্র রক্তে-ভেজা এ'মাটির প্রতিটি'কণা;
দুর্বলে সবলের অত্যাচার-অন্যায়ে ন্যায় কম্পিত,
কলঙ্কিত করে'ই যাচ্ছে কষ্টার্জিত গৌরব-মর্যাদা!
ঘাসের মত ঝকঝকে একটা-সকাল দেখতে চাই-
মানবতা-ন্যায়ে জাগ্রত বিবেকবোধ,মানুষ-অন্তর
সূর্যালোকিত,রশ্মিতে শুধুই ভালোবাসার সৌরভ;
জাতিভেদ বৈষম্য রক্ত লাশের গন্ধ-ক্ষতচিহ্ন নাই,
শোষণের দাবদাহে জ্বলবে'না আর কোনো দুর্বল।
মানবিকতায় সাধিত দূর্লভ বৈষম্যবিহীন যুগান্তর,
চেতনাত্মক সে'বীরত্বকাব্য যেন'কভু ভুলে না-যাই;
কতনা সহস্র প্রতীক্ষিত পূর্ণতা-মুক্তির'স্বাদ-গৌরব।