🔸প্রথম পর্ব: ধর্ষন কী?

অন্ধকার রাতে একা একা,
চিৎকারে কাঁপে শহর-বসত।
মানুষের মাঝে রাক্ষস কেন?
নিরীহ বুকেও ছুরি বসত!

বইয়ের পাতায়, সংবাদের খবরে,
দিনকে দিন বাড়ছে সংখ্যা,
নারী, শিশু, বৃদ্ধা কেঁদে—
ন্যায়বিচারের কোথায় সন্ধ্যা?

🔸দ্বিতীয় পর্ব: কেন করা হয়?

পশুত্ব যখন মানুষ হয়,
বিবেক মরে, মনও ক্ষয়।
লালসার আগুন দহন ছড়ায়,
ধ্বংস হয় স্নিগ্ধ প্রয়।

পরিবেশ, সংস্কৃতি, শিক্ষা দূষিত,
অপরাধীর নেই কোনো ভয়।
বিচারহীনতার কালো ছায়ায়,
ভয়ঙ্কর হয় লালসার রক্তময়!

🔸তৃতীয় পর্ব: কিভাবে ঘটে?

চলন্ত বাসে, ঘরের কোণে,
নির্জন বনে, মেঠো পথে।
বিশ্বাস কেঁপে যায় কখনো,
নিষ্ঠুরতা আসে লুকিয়ে রাতে!

পোশাক নয়, চলাফেরা নয়,
ভুলটা তো অপরাধীরই ছিল।
সমাজ কেন তাকে আড়াল দেয়?
প্রশ্ন থেকে যায় অন্তরজুড়ে।

🔸চতুর্থ পর্ব: প্রতিরোধ কিভাবে করবে?

প্রতিরোধ গড়ে তুলো মননে,
শিক্ষা দাও তোমার সন্তানকে।
নারী নয়, পুরুষ শিখুক,
সংযম রাখুক আপন প্রাণে।

কেবল আইন নয়, চাই সংস্কার,
শিক্ষায় গড়ি মানবতার দার।
যে সমাজ ঘৃণা করে অপরাধীকে,
সেই সমাজেই হবে জয় আমাদের!

🔸পঞ্চম পর্ব: আইন ও বিচার

কাগজে লেখা বিধান বহু,
নয় বিচার, নয় দমন।
যদি বিচার হতো তৎক্ষণাত,
পশু হত লুকিয়ে গমন।

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাব,
বিচারহীনতা বাড়ায় সাহস।
যেখানে দোষীরা হয় রেহাই,
সেখানে ন্যায়বিচার হয় অসহায়!

🔸ষষ্ঠ পর্ব: প্রতিকার ও সমাধান

শ্রদ্ধা দাও, ভালোবাসা ছড়াও,
অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও।
ভুক্তভোগীর নয় লজ্জা,
অপরাধীর মুখোশ খুলো দাও!

পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে,
ভিকটিম নয়, অপরাধী হোক অপমানিত।
মানসিক সেবার দরকার আছে,
পাশে দাঁড়ানো হবে সম্মানিত!

🔸সপ্তম পর্ব: সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি

কেন ঘৃণা পাবে সে?
ভুক্তভোগী তবু দোষী কেন?
নিপীড়কের বিচার চাই,
লজ্জা নয় তার কপালে।

নারীর স্বাধীনতা গলা টিপে নয়,
বিকৃত মানসিকতা থামাও আগে।
কেউ জন্মায় না অপরাধী হয়ে,
শৈশবে দাও মূল্যবোধ শেখার পথে।

🔸অষ্টম পর্ব: ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি

ইসলামে ধর্ষণ নিষিদ্ধ,
জাহান্নামের দ্বার এর গতি।
নারীর সম্মান রক্ষায়,
তাকওয়া রাখো অন্তরে গতি।

পর্দা যেমন নারীকে সুরক্ষা দেয়,
তেমনি পুরুষও তাকওয়ায় থাকুক।
ধর্মের শিক্ষা যদি মানতো সবাই,
ধর্ষকের স্থান জায়গা হতো শূন্য!

🔸নবম পর্ব: মিডিয়া ও সমাজব্যবস্থা

সিনেমা, নাটক, বিজ্ঞাপনে,
নারী যেন নিছক পণ্য!
পণ্য নয়, সে মানুষ প্রথম,
বদলাও মিডিয়ার চিত্রকল্প।

খেলনা নয়, সস্তা নয়,
নারী পুরুষের সমান অংশীদার।
মানুষ বলো, মানুষ ভাবো,
মানবতা দিক সম্মানের ধ্বজাধার!

▪️উপসংহার

আর কত চোখ থাকবে ভয়ে নিমীলিত?
আর কত কণ্ঠস্বর রবে অবরুদ্ধ?
এই অন্যায়ের শেকড় উপড়ে ফেলো,
বিবেকের আলোয় সমাজ রাঙাও।

ন্যায়বিচার হোক অটল,
শাস্তি হোক নিশ্চিত ও দৃষ্টান্তমূলক।
নারী যেন বেঁচে থাকে সম্মানের সাথে,
নয় ভয় আর আতঙ্কের আবরণে।

মানুষ হও, বিবেক জাগাও,
অন্যায়ের বিরুদ্ধে শক্ত হাতে দাঁড়াও।
লালসার আগুনে পোড়াবে কাকে?
সমাজটাকে, নাকি নিজেকেই আগে?

বদলে ফেলো এই বিকৃত মানস,
তবে গড়বে এক নতুন ইতিহাস।
যেখানে থাকবে না কোনো অশ্রু,
থাকবে কেবল নিরাপদ আশ্রয়!