একটি পোষা পাখি ছিল আমার বাড়ির ধারে,
আদর-সোহাগ দিয়ে কত রেখেছিলাম তারে!
মুক্ত বনে উড়ে ছিল হয়ে পাগলপারা,
পাখিটারে পোষে ছিলাম বিনে খাঁচা ছাড়া।
আমার ডাকে দেখা করতে আসত পাখি রোজ,
বেড়ার ফাঁকে উঁকি দিয়ে নিত আমার খোঁজ!
পাখিটারে ধরে ছিলাম দিয়ে মনের মায়া,
অল্পতেই সে পোষ মেনে যায়, নিয়ে আমার মায়া!
তবুও আমি ভয়ে ছিলাম, কাছে নিয়ে তারে,
বিনা শুতার খাঁচা বলে দুল-তো খুশির ভারে!
মনে মনে মিল থাকলেও, ছিলাম আমি ভয়ে,
তাকে সদাই খুশি রাখতাম তাহার মতন হয়ে।
পাখিটারে নিতে যদি ছোঁ মারিত কাকে;
বাজ পাখির মতো আমি, তাড়া করতাম তাকে!
ঝড়-বাদলের হাওয়ার সাথে হয়ে ঝড়ের পাখি,
আঘাত খেয়েও তার আঙিনায় যেতাম সুরে ডাকি!

হঠাৎ একদিন শুনতে পেলাম বিদায় করুণ সুরে,
পাখি আমার খাঁচা ভাঙ্গিয়া যাচ্ছে কোথাও উড়ে!!
হারিয়ে গেল কোথায় জানি, দিয়ে আমায় ফাঁকি
দিনের শেষে শূন্য খাঁচায় আর না তারে ডাকি!
সাঁঝের বেলায় আলো নিভে নয়ন জলে শেষে,
পথের মাঝে পথ ভুলালো, রাতের আঁধার এসে।
উড়তে নাহি পারলাম আর, দেখতে তারে মানা,
চিরতরে রুদ্ধ-খাঁচায় বেঁধে দিলো ডানা!!