ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া একেকজন জিনিয়াস,
মিছিলে গর্জে, পড়ায় নিবিষ্ট, হয়ে যায় সিরিয়াস।
সারারাত মুভি দেখে, মারামারি শেষে,
সকালবেলা পরীক্ষার হলে বসে নির্লিপ্ত বেশে।
কেউ কোটিপতির সন্তান, কেউ দিনমজুরের ছেলে,
কেউ টিউশনি করে চলে, কেউ বাবুর হালে।
বাসের ভিড়ে ঝুলতে জানে বাদুড়ের মতো,
আবার গাড়ির সিটে পা তুলে বসে নেহাতই কেতাদুরস্ত।
ম্যাসের গাদাগাদি ঘুম, শীতাতপ রুমের আরাম,
চটির দৌড়ে বছর কাটে, আবার স্যুটেড-booted কদম।
রাস্তার ঝালমুড়ি নিয়ে কাড়াকাড়ি,
চাইনিজ রেস্টুরেন্টে কাঁটা-চামচের বাড়াবাড়ি।
রোমান্টিক কথায় প্রেমিকা পটে,
আবার ছ্যাঁকা খেয়ে দাঁড়ায় শক্তপোক্ত রথে।
শীতের সকালে আটটার ক্লাস,
আবার ক্লাস ফাঁকি দিয়ে জমে আড্ডার রাজ।
হল-জীবনে প্রতি রাতে নতুন গল্প,
অনুপ্রেরণার, স্বপ্নভঙ্গের, বিচ্ছেদের দোল।
পরিবার ছেড়ে দূরে থাকার বেদনা,
বন্ধুত্বে বাঁশ, আবার শত্রুতায় ছল।
এসএসসির এ-প্লাস এখানে রেফার্ড পায়,
এ মাইনাস থেকে কেউ ফাস্ট হয়ে যায়।
এক রাতের পড়া সি প্লাস দেয়,
সারা বছর খেটেও কেউ এ-প্লাস পায়।
পটের বিবি, কোমল মায়াবী মুখ,
এক ফ্রেমে বাঁধা—তবু ভিন্ন সুখ।
এখানে স্বপ্ন তৈরি হয় না,
তবে স্বপ্নের কারিগর গড়ে উঠে ঠিক।
এখানে কেউ কারও "বস" নয়,
সবাই নিজের ভাগ্যের "বস" হয়ে রয়।
ইঞ্জিনিয়ারিং শুধু পড়াশোনার জায়গা নয়,
এটা এক জীবনের পাঠশালা, স্বপ্ন যেখানে রোজ নবজন্ম পায়।