শূয়োরের বাচ্চা!
গালিটা অবশ্য মনে মনে দিই।
জোরে দিতে পারলে না জানি কত শান্তি পেতাম!
অথচ, আমি জানি,
স্যারের কোন দোষ নেই।
উনিও তো আমারি মত দাসখত লিখে দিয়েছেন।
সারাদিন সবার সামনে
ওষ্ঠপ্রান্তের স্থিতিস্থাপকতা পরীক্ষা।
আর কত সহ্য হয়?
এইতো গত রবিবারে,
ভরা সাপ্তাহিক সভায়।
মালিক উনার জন্মদাতা থেকে শিক্ষাগুরু সবার ঠিকুজি দিলেন।
তখন উনি?
ঠোঁটে বোকা হাসির।
আর ঘাড়ে, গাড়ির ড্যাশবোর্ড পুতুলের বিজ্ঞাপন দিলেন।
খদ্দেরের অফিসে যেতে হয়েছিল শনিবারে,
কাজের আশায়।
তিনটি ঘন্টা পর বের হয়ে যা বললেন, বাতাস দুষিত হয়ে গেল।
অথচ ভেতরে?
বেনারসী ওস্তাদের মত।
নিখুঁত তালে সংগত দিয়ে গেলেন।
ওস্তাদীর প্রমান দিয়েছিলেন
এবার বনভোজনে।
মিলি আপুর গানের উচ্ছসিত প্রসংশায়।
ফেরার গাড়িতে
উনার উন্নততর অর্ধাংশের ঠান্ডা প্রেমালাপ!
পুরোটা রাস্তা বিব্রত হাসিতে ঢেকে দিলেন।
আর আমিতো
সত্যিই অপরাধী।
এএএক ঘন্টা আগে ছুটি চেয়েছি মেয়ের জন্মদিনে।
উনিও তো পাননি চেয়ে
ছেলের ডেংগুর সময়।
একটি পুরো দিন ছুটি চাওয়ার দুঃসাহস অবশ্য করেছিলেন।
আমরা যারা দাসখত দিয়েছি
ছাপানো কিছু কাগজের বিনিময়ে।
সবাই আসলে একে অপরের রেপ্লিকা।
পার্থক্য শুধু আকারের।