শহরের ধূসর মেঘ চিবিয়ে
আমি তোমার গন্ধে বুনেছি দগ্ধ চিলেকোঠা।
তোমার চুলের গর্ভে সেঁধিয়েছি শৈশব,
আর প্রতিদিন দেখি—
মৃত্তিকায় বোনা একটি আধফোঁটা আলো,
যা আমার ক্ষয়ে যাওয়া নখের রক্তে লাল।

ঘুম ভাঙলে, মৃগনাভির ঘ্রাণে ভেজা শব্দ
চুরি করে রাখি তোমার অন্তর্বাসের গভীরে,
যেখানে গোপনে ফোটে গাঢ়তর বিষের ফুল।

তোমার ঠোঁটের পাঁজরে আঁকা এক টুকরো ব্যথা,
আমি তাকেই ভাঙি, তাকেই গুঁড়ো করি।
তোমার চোখের কোণে বয়ে চলা বিষাদের নদী
তাতে ভাসাই আমার সমস্ত অভিমান
তোমার অন্ধকারে আগুন লাগাই।
আর সেই দহনেই আমি খুঁজে পাই নিজেকে
তোমার হাসিতে আমি আমার শেষ অশ্রু মুছে ফেলি।

এভাবেই গিলে খাই সমস্ত ভালোবাসা
তারপর আমি হেসে ফেলি,
আর সেই হাসির শব্দে ফুটে ওঠে অসংখ্য মৃত প্রজাপতি।