১.
নেই কোনো পুরোনো মেঘ বরং ঝরে পড়া অগণিত উষ্ণ তৃণখণ্ড, একলা সন্ধ্যা সরে আসে রক্তিম ঘাসের উপর। যেখানে পথের পাশে জমে আছে বিস্মৃতির স্বচ্ছ কুয়াশা।
আমি দাঁড়িয়ে আছি, পেছনে ছায়া নয়— অগণন আলোর রেখা। এইখানেই তুমি তুলে নিয়েছিলে দু-একটি অন্ধ সুর।
হ্যাঁ, অন্ধ, কারণ তারা দেখেছিল শূন্যতার প্রসন্ন কালো।
২.
তোমার হাতে তিন রঙের আভাস— বেগুনি, নীল, আর একটুখানি মাটির ম্লান লাল। অর্ধনিদ্রার মতোন কানে বাজে পুরনো জলস্রোতের শব্দ, অথচ এখানে নেই কোনো নদী।
আমার ঘুম আসছে না, বরং ডেকে উঠছে জেগে থাকা এক ঝাঁক পাখি।
৩.
আমি একফোঁটা রক্ত হতে চাইনি বরং বাঁচতে চেয়েছিলাম—
ঘাসের ডগায় কুয়াশা হয়ে। তবুও, সময়ের স্রোতে মিশে গেছি নুড়িপাথরের গভীরতায়। এক এক করে খুলে ফেলেছি নিজেকে, যেন পাতা ঝরছে বনের ভেতর। কিন্তু প্রতিটি পাতা রাখছে একটি একটি ক্ষুদ্র প্রতিশ্রুতি—ফিরে আসার।
৪.
তুমি খুব ভালো মতোই জানো, তোমার শীতল আঙুলের স্পর্শে মাটি ভিজে ওঠে। তুমি দূরে দাঁড়িয়ে, অথচ আমার সমস্ত প্রতিধ্বনি ছুঁয়ে যায় তোমার সমতল চেহারা।
৫.
এবং অবশেষে, আমরা একত্রে দেখি— প্রথম কোনো রক্তিম সূর্যোদয়। এখানে কোনো প্রশ্ন নেই, কোনো উত্তরও নয়। কেবল শব্দেরা বসে থাকে, আর পেছনে ছুটে যায় সময়ের অদৃশ্য ঘোড়া।