একটি পুরোনো হলুদাভ কাগজ ছিলো,
ইচ্ছেগুলোও ছিলো তার সাদামাটা।
শুধু কবির কিছু কথা ধারণ করতে চেয়েছিলো,
সে কি জানতো, আজকাল কবির লেখা ধারন করাও নিষিদ্ধ!

একটি সরু নদী ছিলো,
বিকেলের রোদে রুপোলী সুতোর মতো ঝলমল করতো।
সে সাগরে প্রবাহিত হতে চেয়েছিলো,
সে কি জানতো, আজকাল প্রবাহিত হওয়াও নিষিদ্ধ!

একটি কৃষ্ণ বর্ণের দাঁড়কাক ছিলো,
ঠোঁকরে ঠোঁকরে খাবার খুঁজতে পটু ছিলো।
ময়লার ভাগাড়ে সেদিন খাবার খুঁজতে গিয়েছিলো,
সে কি জানতো, ময়লার ভাগাড়ে খাবার খোঁজাও আজকাল নিষিদ্ধ!

আর ছিলো একজন কবি,
কবিতা লিখতে প্রচণ্ড ভালোবাসতো,
সবকিছু নিয়ে কবিতা লিখতে চাইতো,
সে কি জানতো, সবকিছু নিয়ে কবিতা লেখাও আজকাল নিষিদ্ধ!

এসব বোকারা জানতো না, আজকাল সবই নিষিদ্ধ।
তাই রুপোলী নদীর মানব সৃষ্ট যবনিকায়,
পড়ে থাকে কবি,
তার বুকের বাম পাঁজরে লাল গর্তে,
নিথর দাঁড়কাক আটকে থাকে,
আর কবির ডান হাতে পড়ে থাকে,
হলুদাভ, সেই পুরোনো রঙের কাগজ।