ভালো লাগে–
ভালো লাগে এই বিপুল আকাশ,
এই বিশাল আকাশ।
কখনো খন্ড খন্ড সাদা মেঘে ভরা,
কখনো বা তারই মাঝে অসীম নীলের উঁকিঝুঁকি।
কখনো রক্তিম, কখনো বা ধূসর।
কখনো কখনো ঘন কালো মেঘে ঢাকা।
নানা রঙের সংমিশ্রণ।
এ এক অপূর্ব ঐশ্বরিক সৌন্দর্য।
ভালো লাগে এইসব।
ভালো লাগে নদীর কিনারে ফুটে থাকা ছোট্ট ফুলটি।
নামহীন ফুলের চারিপাশে উড়ে একটি প্রজাপতি।
নদীর ঢেউয়ের ছন্দে ছন্দে দোলে কচুরিপানা।
হেসে উঠে চারিপাশ।
এইসব দেখে বড় ভালো লাগে।
ভালো লাগে এই নির্জন সন্ধ্যাবেলা,
নিবু নিবু আলোতে ছায়ামাখা ঘাসে শুয়ে থাকা,
বিজন ঘাসের শ্যামসবুজ বিছানা।
ভালো লাগে পূর্ণিমা রাত,
ঝিঁ ঝিঁ পোকার সুরেলা গান।
হাজার নক্ষত্রে খচিত সুশোভিত আকাশ।
এ যেন এক স্বর্গীয় উদ্যান।
ভালো লাগে শীতের রাত, চৈত্রের উদাস দুপুর,
বর্ষার আনমনা নীরস বিকেল।
বিন্দু বিন্দু শিশিরে ভেজা কুয়াশামাখা নরম ভোর।
ভালো লাগে বসন্তের স্নিগ্ধ দিনগুলি।
বাতাসে রোদ্রের লহু ঘ্রাণ, বৃষ্টির ঝিরঝির শব্দ।
ভালো লাগে নিঃসঙ্গ ঝরা পাতা,
নৃত্যরত সাদা কাশফুল, ব্যথিত নীলোৎপল।
কদম ফুল ছুঁয়ে থাকা একটুখানি জল।
ভালো লাগে গাঁয়ের মেঠোপথ,
রাখালী বাঁশীর রোরুদ্যমান করুণ সুর।
নির্জন বনের গভীরের ছোট্ট কুড়েঘর।
ভালো লাগে বেসুরো গলার গান,
কর্কশ ধ্বনি, ভালো লাগে।
ভালো লাগে ক্লান্ত দিনের অযথা অভিমান।
ভালো লাগার এইসব কিছুর মাঝেই বেঁচে থাকা।
কত না বসন্ত- কত না দিন চলে গেলো।
এমন ভালো লাগেনিতো কিছু আগে।
এখন কেনো ভালো লাগে?
ভালো লাগে চারিপাশের পৃথিবী?
মনে হয়- জীবন এত সহজ! এত সুন্দর!
যেন শষ্পহীন নির্মল সমুদ্র।
কারণ- তুমি এসেছো আমার জীবনে,
বাড়িয়েছো তোমার বিশ্বাসী দুই হাত।