শুনলাম ওদিকে নাকি বৃষ্টি হচ্ছে,
একদম কাকভেজা ঝুম বৃষ্টি।
একটু আগে মেঘেরা বলে গেলো কানে কানে।
খবরটা শুনেই আমি ব্যাকুল হয়ে উঠলাম।
তোমার ওদিকে এমন তুমুল বৃষ্টি
অথচ আমার এখানে খাঁ খাঁ করা কি রোদ।
ঠিক তৃষ্ণার্ত বুকের ভেতরটার মতন।
অবশ্য আমরা বরাবরই বিপরীত,
বিপরীত আমাদের আবহাওয়া ও।
জানতাম তুমি বৃষ্টি পছন্দ করো খুব,
বর্ষা তোমার প্রিয় ঋতু।
তুমি ভালোবাসো বৃষ্টির রিনঝিন শব্দ,
কালো মেঘ– মেঘের গর্জন।
মেঘলা আকাশের দৃশ্যটা তোমার খুব প্রিয়।
বৃষ্টি আসলেই নাকি তোমার মনটা আনন্দে নেচে উঠে।
তুমি গেয়ে উঠো বর্ষার গান, বৃষ্টির গান,
তোমার গলায় উঠে আসে অনন্ত সুর।
তুমি ভিজো বৃষ্টিতে,
ভিজাও তোমার হাত, পা, চুল– তোমার মন।
তোমাকে ছুঁয়ে দেয়া প্রতিটি বৃষ্টি ফোঁটাকে
তুমি মায়াভরে মাখো তোমার শরীরে।
তোমার স্পর্শে বৃষ্টিও যেন প্রাণ পেয়ে উঠে।
অথচ আমি পাই নি এমন স্পর্শ।
তোমার কাছে বৃষ্টিরাই বুঝি বেশী দামী!
তাই তো বর্ষা আমার প্রিয় না, বৃষ্টি আমার পছন্দের না।
বৃষ্টি আসলেই আমি হাহাকার করি
তোমার শূন্যতায়– কিছুটা ঈর্ষায়, কিছুটা হিংসায়।