তুমি ফিরে তাকাওনি বলে
ধুসর গাঢ় বর্ণে ঢেকে আছে
আমার অন্যমনস্ক রিক্ত আকাশ,
উদ্ভট গন্ধে ভেসে গেছে এপার থেকে ওপার প্রান্ত।
ঝরে অশ্রুহীন বর্ষণ।
তুমি ফিরে তাকাওনি বলেই
আমার হাত থেকে খসে গেছে
কতনা সুক্ষ সুনীল গোধুলী।
মুহুর্তেই পৌছে গেছে আক্ষেপের তীব্র অতলে।
বিজন ভূমিতে পা দিয়েছে সবুজ প্রেইরী
ব্যাথার অসাড়তা মেখে।
শুধু তুমি ফিরে চাওনি বলেই
বইয়ের মলাটে মলাটে জমেছে ধুলো,
পাতায় পাতায় শব্দকোষের নীরব বিদ্রোহ।
অজ্ঞাত প্রেরকের মোহনীয় মোড়কে বাঁধা
শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ আবেগী চিঠিটিও হয় পদাস্খলিত,
গুমরে পড়ে অবলীলায়।
শুধু তুমি একবার ফিরে তাকাওনি বলেই
পথ হারিয়ে বৃক্ষতলে শোভা পায়
ক্লান্ত পথিকের দাগহীন পদধুলা।
আমার বুকের মাঠজুড়ে ভেঙ্গে পড়ে সহস্র উত্তাল ঢেউ,
অবিশ্বাসের পাঁচিল ভাঙ্গে দ্বিধাহীন সমান বিরতিতে।
তুমি ফিরে তাকাওনি বলেই
আমি বাতাসে মাখি সুমধুর বেদনা,
বেদনার ছায়ারঙে বুনি আঘাতের কল্পকথন।
অনিদ্রা শেষে হাওয়ার দীপালোকে উড়াই রঙ্গিন নিশান।
তুমি ফিরে চাওনি বলে
আমার বুকের মধ্যেই যেন সমুদ্র জেগে উঠে।
উজান বালিচরে অনুশোচনার ক্ষত শুকায় বিষাদে।
তুমি ফিরে চাওনি বলেই
দেখো আমার আঁখির সরোবরে
ফুটে উঠে নির্বাক অশ্রুকোমল।
তুমি ফিরে তাকাওনি
তাই তো আজ আমার ইচ্ছেগুলোও ঘরছাড়া।
ব্যর্থতার মুখোশ ঢেকে চেতনায় করে করাঘাত।
তুমি ফিরে তাকাওনি
তবুও আশায় বুক বেঁধে থাকি.
অধীর মন উন্মত্তে ভাসে।
অন্ধকারে হাতড়ে বেড়াই উত্তর।
একি আক্ষেপ নাকি অপেক্ষা..?