প্রতিটি মৃত্যুর আহ্বান আমাকে ক্লান্ত করে,
প্রতিটা মৃত্যুই আমাকে কাঁদায়,
হোক তা মুসলিম, ইহুদি কিংবা খ্রিস্টান—
প্রত্যেকটি রক্তবিন্দুতে দেখি সমর্পণ।
ধ্বংসস্তূপের প্রতিটি ধূলিকণা,
গাজা কিংবা লস অ্যাঞ্জেলেসের ধ্বংসের স্মৃতি,
আমার আত্মায় যেন ক্ষত চিহ্ন এঁকে যায়।
নির্বাক প্রার্থনায়, কেবল শূন্যতা জাগায়।
বস্ত্রহীন, আশ্রয়হীন মানবপ্রাণ,
যাদের হিমশীতল রাতের কান্না বেঁধে রাখে
আমার প্রতিটি ভাবনায়।
তাদের প্রতিটি কাঁপুনিতে ভেঙে যায় মানবতার গৌরব।
প্রতিটা শিশুর নিথর দেহ,
আমার আত্মাকে করে বিদীর্ণ।
তাদের হাহাকারে থেমে যায় সময়,
স্বপ্নগুলো ভেঙে যায় নির্জন রাতের চিৎকারে।
এত কিছুর পড়েও,
বুলেট আর বোমার শব্দ শুনি,
তাতে কি আছে কোনো বিজয় গান?
প্রতিটা যুদ্ধই হারায় মানুষকে,
নিঃস্ব করে মানবতার মানচিত্র।
এই কি সভ্যতার প্রকৃত বিজয়?
মানচিত্রের প্রতিটি রেখায় দেখি রক্তের জলছাপ।
গাজা, সিরিয়া, বা ইউক্রেন,
অথবা লস অ্যাঞ্জেলেসের রাস্তায়,
সর্বত্র দেখি একটাই সত্য—
সবখানেই শুনি একই সুর,
মানবতার করুণ আর্তনাদ।
মানবতার রঙ যে একটাই,
রক্তের স্রোতে নেই কোনো জাত-পাঁত।
বেদনাগুলো সব ভাষা ভেদ করে,
তুলে আনে হৃদয়ের গভীর ক্রন্দন।
আমি শান্তি খুঁজি, একটুকরো আলো খুঁজি,
যা ছড়িয়ে যাবে সীমানার ঊর্ধ্বে।
মানবতা ফিরে পাবে তার আশ্রয়,
বিকাশ বা বিনাশ নয়, চাই এক আত্মকলহ মুক্ত নীরব সুন্দর পৃথিবী।