হে সুতিয়া নদী,
সাড়ে সাতশত কোটি মানবের ভিড়ে,
মোরা ঠাই নিয়েছি তর কিনারার তীরে।
তুই রেখেছিস মোদের জীবন ঘিরে,
মোদের জীবন চলছিল ধীরে ধীরে।
কি ভ্রান্তি করেছিল সেই নিষ্পাপ মেয়ে?
তুই দেখলি না একবার ফিরে চেয়ে!
চিৎকার দিয়ে ঝাঁপিয়েছে তর বুকে,
তুই প্রাণটা কেড়ে নিলি ধুকে ধুকে।
শিশুটা হাবুডুবে জল পান করে তর শ্রুতে,
সিন্দুক ভাসেছে শত মা ভাই বোনের অশ্রুতে।
সিনথিয়াকে তুই ভাসিয়ে নিলি কি বিনারে?
নিঠুরিয়া হয়ে নদী নিয়ে গেলে কোন কিনারে?
জননীর মন তো ঘরে থাকে না আহারে!
জননীর মনে পড়ে ঐ সিনথিয়া তাহারে!
জননীর অশ্রে ঝরে ফুটা ফুটা নোনা জল,
জননী তো আর পায় না মানসিক বল।
শত মানব এসেছে সিনথিয়াকে খুঁজতে,
তুই পারলি নারে নদী কারো মন বুঝতে!
সুতিয়া নদী তুই জীবন নিলি শিশু নিষ্পাপ,
নদী তুই কোরে নিলি মানবের অভিশাপ।
প্রভু ঐ শিশুর জন্য স্বর্গের দুয়ার খুলে দাও ,
জননীর বুক থেকে চিতার আগুন নিয়ে নাও।
সুতিয়া নদীরে তুই কেড়ে নিলি মায়ের কোল,
তর কিনারায় ঠাই নিয়ে মোরা করছি বড় ভুল।