পুবাল বাতাসে এলোকেশে
পাগল বেশে
পাগলামি যে করি,
শীতের দিনে খেজুর গাছে
রসের হাড়ি ভরি।
নদীর পাড়ে হেঁটে হেঁটে
দেখে যায়যে নারী,
পূর্ব দিকে তাকিয়ে দেখে
আমার ভাঙ্গা বাড়ি।
বাড়ির পাশে সুতিয়া নদী
মন থাকে না ঘরে,
একটু পরে পরে যাই
সুতিয়া নদীর পারে।
নদীতে উতাল পাতাল দমকা হাওয়া
মাতাল মাতাল ঢেউ,
বর্ষাকালে একুল ভাঙ্গে
ওকূল গড়ে
ঠেকাতে পারে না কেউ।
নদীর একূল ওকূল টলমল পানি
দেখে আমি লিখি বানী
নদীর মাঝে হাঙর আছে
আমি কি তা জানি?
দুপুর বেলা হাঁটাহাঁটি
নদীর মাঝে সাঁতার কাটি
জানে শুধু ওই,
কিছুক্ষণ পরে ডেকে বলে
গেলে গো তুমি কই?
কিছুক্ষণ পরে সেজে
আমায় দেখতে আসে,
শরীর শীতল হয় তাঁহার
পুবাল বাতাসে।